টু ফিঙ্গার টেস্ট ও বায়াে ম্যানুয়াল টেস্ট নিষিদ্ধ
1 Answers
মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, ব্রাক, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, নারীপক্ষ এবং দুই চিকিৎসক ডা. রুচিরা তাবাচ্ছুম ও ডা. মােবারক হােসেন খানের রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে ১২ এপ্রিল ২০১৮ ধর্ষণের শিকার নারী ও শিশুর শারীরিক পরীক্ষায় তথাকথিত ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট ও বায়াে ম্যানুয়াল টেস্ট নিষিদ্ধ করে হাইকোর্ট। আদালত তার রায়ে বলেন, ধর্ষণের শিকার নারী ও শিশুর শারীরিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে এই দুইটি পরীক্ষার আইনি বা বিজ্ঞানসম্মত কোনাে ভিত্তি নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সরকার যে হেলথ প্রটোকল করেছে সে বিধি অনুযায়ী রেপ ভিকটিমদের শারীরিক পরীক্ষা ও ভার্জিনিটি টেস্ট করতে হবে। আদালত পর্যবেক্ষণে বলেন, ধর্ষণের শিকার নারী ও শিশুদের পরীক্ষা করার সময় একজন গাইনােকলজিস্ট, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, নারী পুলিশ কর্মকর্তা এবং প্রয়ােজনে ভিকটিমের একজন নিকট আত্মীয়কে সামনে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালকে নিশ্চিত করতে হবে যে, কোনাে পক্ষের আইনজীবীই যেন ভিকটিমকে মর্যাদা হানিকর কোনাে প্রশ্ন না করে।
Please login or Register to submit your answer