জাতীয় পাটনীতি-২০১৮
1 Answers
পাট একদা বাংলাদেশকে ‘সােনালী আঁশের দেশ হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি এনে দিয়েছিল। স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে পাট এদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান খাত হিসেবে আবির্ভূত হলেও পরবর্তীতে তা ক্রমেই স্তিমিত হয়ে পড়ে। কিন্তু তা সত্ত্বেও পাট বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প। দেশের রফতানি আয়ের ৩.৮৬% আসে পাট থেকে। আর তাই এ পাট শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার পাশাপাশি এ শিল্পের অতীত সােনালী গৌরবকে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকার প্রণয়ন করে জাতীয় পাটনীতি-২০১৮। ২৮ মে, ২০১৮ মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাতীয় পাটনীতি-২০১৮' অনুমােদিত হয়। এরপর ১ আগস্ট, ২০১৮ তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। অনুমােদিত জাতীয় পাটনীতির ভিশন দেশে-বিদেশে প্রতিযােগিতা সক্ষম শক্তিশালী পাট খাত প্রতিষ্ঠা এবং মিশন উৎপাদনশীলতা, কর্মসংস্থান ও বিনিয়ােগ বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিবেশ-বান্ধব বহুমুখি পাটপণ্য সৃজন ও বাজারজাতকরণ। সপ্তদশ সংশােধনী ৮ জুলাই, ২০১৮ দুই দফা বিভক্তি ভােট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাতীয় সংসদে পাস হয় সংবিধান (সপ্তদশ সংশােধন) বিল, ২০১৮। বিলটির পক্ষে ভােট পড়ে ২৯৮টি এবং বিপক্ষে কোনাে ভােট পড়েনি। সংবিধানের সপ্তদশ সংশােধনের মূল উদ্দেশ্য ছিল সংরক্ষিত ৫০টি নারী আসনের মেয়াদ ২৫ বছর বৃদ্ধি করা। আর এ লক্ষ্যে সংবিধানের ৬৫ নং অনুচ্ছেদের ৩ দফায় পরিবর্তন আনয়ন করা হয়। যার ফলশ্রুতিতে একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম বৈঠকের হতে শুরু করে ২৫ বছর সময় অতিবাহিত হওয়ার অব্যবহিত পরবর্তী সময়ে সংসদ ভেঙ্গে না যাওয়া পর্যন্ত ৫০টি নারী আসন সংরক্ষিত থাকবে।
Please login or Register to submit your answer