সামাজিক বিজ্ঞান

সামাজিক স্তরবিন্যাস, সামাজিক স্তরবিন্যাসের সংজ্ঞা ও সামাজিক স্তরবিন্যাসের বৈশিষ্ট্য ও প্রকারভেদ

সামাজিক স্তরবিন্যাস : পৃথিবীতে এমন কোনাে সমাজের অস্তিত্ব নেই যেখানে মানুষের সঙ্গে মানুষের পার্থক্য বা বৈষম্য নেই। সমাজের প্রত্যেকটি মানুষ বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত। কেউ অর্থের দিক হতে, কেউ শিক্ষার দিক হতে, আবার কেউ কেউ ক্ষমতার দিক থেকে। অর্থের দিক হতে মানুষকে সাধারণত ৩ ভাগে ভাগ করা যায়, যথা-

  • ধনী,
  • মধ্যবিত্ত এবং
  • দরিদ্র।

শিক্ষার দিক থেকে সমাজে ২টি শ্রেণীর লােক দেখা যায়, যথা- শিক্ষিত এবং অশিক্ষিত। ক্ষমতার ভিত্তিতে সমাজের মানুষ ২ ভাগে বিভক্ত, যথা-

  • শাসক
  • শাসিত।

এভাবে প্রত্যেক সমাজের মানুষ বিভিন্ন স্তরে বিভক্ত। কোনাে সমাজই পুরােপুরি সাম্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত নয়। তাই সরােকিন (Sorokin) বলেন, “পৃথিবীর ইতিহাসে এমন কোনাে সমাজব্যবস্থার পরিচয় পাওয়া যায় না যা পুরােপুরি সাম্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত।”

সামাজিক স্তরবিন্যাসের সংজ্ঞা

সামাজিক স্তরবিন্যাস বলতে সাধারণত সমাজের মানুষকে উঁচু-নীচু পর্যায়ে বিভক্ত করা বােঝায়। সরােকিন (Sorokin)-এর মতে, “সামাজিক স্তরবিন্যাস বলতে জনসংখ্যাকে পর্যায়ক্রমে বিভক্তিকরণ বােঝায়। এর অর্থ হল সমাজের এক প্রান্তে উচ্চ শ্রেণী এবং অন্য প্রান্তে নিম্ন শ্রেণী অবস্থিত।

আরো পড়ুন : সমাজ কাঠামাে, সমাজ কাঠামাের সংজ্ঞা ও সমাজ কাঠামাের উপাদান

চিনয় (Chinoy) বলেন যে, প্রতিটি সমাজে কিছু কিছু লােক উৎকৃষ্ট আবার কিছু কিছু লােক নিকৃষ্ট। কেউ শাসন করে, কেউ শাসিত হয়। এভাবে সমাজের মানুষকে উঁচু-নীচু, ধনী-দরিদ্র, শাসক-শাসিত ইত্যাদি পর্যায়ে ভাগ করাকেই সামাজিক স্তরবিন্যাস বলা হয়। ম্যাকাইভার ও পেজ (MacIver and Page) বলেন, সামাজিক স্তরবিন্যাস বলতে (১) মর্যাদাভিত্তিক স্তরবিভাগ বােঝায় এবং (২) উৎকৃষ্ট এবং নিকৃষ্টের ভিত্তিতে বিভাগ নির্দেশ করে।

তাদের মতে মর্যাদার ভিত্তি হল অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক। আর এই মর্যাদাবােধই একটি স্তরকে অন্যত্র থেকে পৃথক করে। উপরের আলােচনা হতে বলা যায় যে, সামাজিক স্তরবিন্যাস হল সমাজের ব্যক্তি বা গােষ্ঠীর অসম অবস্থান। এ অবস্থানের এক পাশে উচ্চ শ্রেণী এবং অন্য পাশে নিম্ন শ্রেণী রয়েছে।

সামাজিক স্তরবিন্যাসের বৈশিষ্ট্য

সামাজিক স্তরবিন্যাসের কতকগুলাে বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। এগুলাে নিম্নরূপ :

(ক) এর প্রথম বৈশিষ্ট্য হল এটা এক ধরনের সামাজিক অবস্থা। মানুষের সঙ্গে মানুষের যে অসমতা দেখা যায় তা সমাজেরই সৃষ্টি। এর কোনাে জৈব তাৎপর্য নেই। কারণ জৈব গুণাগুণের ভিত্তিতে কোনাে সামাজিক বিন্যাস হয় না।

(খ) সামাজিক স্তরবিন্যাস একটি সুপ্রাচীন ব্যবস্থা। অতীতে এমন কোনাে সমাজ ছিল না যেখানে কোননা না কোনাে ভাবে স্তরবিন্যাস ছিল না। আদিম সমাজে মানুষ যখন দলবদ্ধ হয়ে জঙ্গলে ফলমূল আহরণ ও পশুপাখি শিকার করত, তখনাে তারা উঁচু-নীচু স্তরে বিভক্ত ছিল।

(গ) সর্বব্যাপিতা (Ubiquity) সামাজিক স্তরবিন্যাসের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। প্রাচীন সমাজে, আধুনিক সমাজে, কৃষি সমাজে, পুঁজিবাদী সমাজে এমনকি সমাজতান্ত্রিক সমাজেও এর অস্তিত্ব দেখা যায়। অর্থাৎ এমন কোনাে সমাজ ব্যবস্থা নেই যেখানে সামাজিক স্তরবিন্যাস দেখা যায় না।

আরো পড়ুন : প্রতিষ্ঠান (Institution) ও বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান ও তাদের ভূমিকা

(ঘ) স্তরবিন্যাসের সামাজিক ফলাফল দুইদিক থেকে আলােচনা করা যেতে পারে যথা- (১) জীবনে সুযােগ-সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা (life-chances) এবং (২) জীবন যাপনের রীতি (life styles)। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাওয়া, পরা প্রভৃতি ক্ষেত্রে কে কতটুকু সুযােগ-সুবিধে পাবে এটা প্রায় সম্পূর্ণরূপে স্তরবিন্যাসের দ্বারা নির্ণীত হয়।

উপরের স্তরের লােকদের জীবনযাপনের রীতি নিম্ন স্তরের লােকদের চেয়ে অনেক বেশি উৎকৃষ্ট বা দামি। তাই নিম্ন শ্রেণীর লােকের তুলনায় উচ্চ শ্রেণীর লােকেরা জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযােগ বেশি পায়।

সামাজিক স্তরবিন্যাসের প্রকারভেদ

সামাজিক স্তরবিন্যাসের প্রধানত ৪টি প্রকরণ দেখা যায় যথা- (১) দাস প্রথা, (২) এস্টেট প্রথা, (৩) সামাজিক শ্রেণী এবং (৪) বর্ণপ্রথা। নিম্নে সংক্ষেপে স্তরবিন্যাসের ৪টি প্রকরণ সম্পর্কে বর্ণনা করা হল :

দাস প্রথা (Slavery)

দাস প্রথা সামাজিক স্তরবিন্যাসের একটি প্রকরণ। দাস হল এমন এক ব্যক্তি যাকে সমাজের আইন ও প্রথা দ্বারা অন্যের সম্পত্তি বলে বিবেচনা করা হয়। দাস প্রথার ৪টি বৈশিষ্ট্য দেখা যায় যথা- (১) দাসের একমাত্র পরিচয় হল যে, সে তার প্রভুর সম্পত্তি। প্রভু খেয়াল খুশিমতাে দাসকে ব্যবহার করতে পারতেন। (২) সামাজিক ক্ষেত্রে দাসরা ছিল ঘৃণার পাত্র। (৩) রাজনৈতিক ক্ষেত্রে দাসরা ছিল দর্শক এবং (৪) দাসদেরকে বাধ্যতামূলকভাবে পরিশ্রম করতে হত। প্রাচীন গ্রীস ও রােমে দাসপ্রথা প্রচলিত ছিল।

এস্টেট প্রথা (Estate)

এস্টেট প্রথা বলতে কখনাে ভূসম্পত্তি, কখনাে সামাজিক শ্রেণী আবার কখনও অধিকার-কর্তব্যকে বােঝায়। মধ্যযুগে ইউরােপে এস্টেট প্রথার ৩টি বৈশিষ্ট্য ছিল। প্রথমত, সমাজের লােকেরা ৩টি এস্টেট বা শ্রেণীতে বিভক্ত ছিল। প্রথম শ্রেণীতে ছিল যাজক সম্প্রদায়ের লােকেরা। তাদেরকে প্রথম এস্টেট বলা হত। দ্বিতীয় এস্টেটের লােক ছিল অভিজাত শ্ৰেণী। সাধারণ লোেকদের বলা হত তৃতীয় এস্টেট। দ্বিতীয়ত, দ্বিতীয় শ্রেণীর প্রত্যেকের পদমর্যাদা আইনের দ্বারা সুনির্দিষ্ট করা ছিল। আইনের চোখে সবাই সমান, এ নীতির প্রচলন ছিল না। তৃতীয়ত, প্রথম ও দ্বিতীয় এস্টেটের লােকরাই সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার ভােগ করত।

সামাজিক শ্রেণী (Social Class)

ম্যাকাইভার ও পেজ-এর মতে, “সামাজিক শ্রেণী হল সম্প্রদায়ের একটি অংশ যা অপর অংশ হতে সামাজিক মর্যাদার ক্ষেত্রে পৃথক।” সাধারণত তিন দিক হতে সমাজের মানুষকে ৩টি ভাগ করা যায়। যথা- (১) অর্থনৈতিক দিক হতে, (২) ক্ষমতার দিক হতে এবং (৩) মর্যাদার দিক হতে। অর্থ, ক্ষমতা ও মর্যাদা অনুযায়ী সমাজের মানুষকে ৩টি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়, যথা- (১) উচ্চ শ্রেণী, (২) মধ্যবিত্ত শ্রেণী এবং (৩) নিম্ন শ্রেণী। আয়, জীবনযাত্রা প্রণালি, সম্মান, প্রতিপত্তি প্রভৃতি ক্ষেত্রে এক শ্রেণী অন্য শ্রেণী হতে পৃথক।

বর্ণ প্রথা (Caste system)

ডি, এন মজুমদার এবং টি এন, মদন (D. N. Mazumdar and T. N. Madan) বলেন যে, বর্ণপ্রথা হল একটি বদ্ধ গােষ্ঠী। যখনই কোনাে শ্রেণীকে উত্তরাধিকার-সূত্রে বিচার করা হয় তখনই তাকে বর্ণপ্রথা বলে অভিহিত করা হয়। বর্ণপ্রথায় সদস্যপদ জন্মসূত্রে নির্ধারিত এবং সামাজিক মর্যাদাও পূর্বনির্ধারিত। তাছাড়া এ প্রথায় এক বর্ণের লােক অন্য বর্ণে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে না। বর্ণপ্রথা হিন্দু সমাজের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। বর্ণপ্রথা অনুসারে হিন্দুদেরকে প্রধানত ৪টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে যথা- (১) ব্রাহ্মণ, (২) ক্ষত্রিয়, (৩) বৈশ্য এবং (৪) শূদ্র।

সামাজিক বিন্যাসের কারণ

পৃথিবীর সব সমাজেই কম বেশি স্তরবিভাগ দেখা যায়। অতীতেও ছিল এবং বর্তমানেও আছে। আদিম সমাজও এর ব্যক্রিম নয়। আদিম সমাজে গােত্রপ্রধান বা দলপতি গােত্রের অন্যান্য সদস্য অপেক্ষা অতিরিক্ত সুযােগ-সুবিধা ভােগ করত। সেখানে স্ত্রী-পুরুষভেদে সামাজিক অসমতা দেখা দিত। আদিম সমাজে শ্রেণীবৈষম্য ছিল একথা মার্ক্সবাদীরা স্বীকার করেন না। তাদের মতে, আদিম সমাজ ছিল সাম্যবাদী সমাজ।

আদিম সমাজে ব্যক্তিগত মালিকানা ছিল না বলে সেখানে শ্রেণীবিন্যাসের উদ্ভব হয়নি। কিন্তু যখন থেকে সমাজে ব্যক্তিগত সম্পত্তির ধারণার সৃষ্টি হয় তখন থেকেই শ্রেণী বৈষম্যেরসৃষ্টি হয়। মার্ক্সীয় তত্ত্বে, এটাই ছিল ত্রবিন্যাসের অন্যতম কারণ। দ্বিতীয়ত, জাতি (Racial) বা বর্ণপ্রথাগত পার্থক্যের জন্য সমাজে শ্রেণীবিন্যাসের উদ্ভব হয়। যেমন, হিন্দু সমাজে এ ধরনের বিন্যাস দেখা যায় হিন্দুরা।

আরো পড়ুন : ধর্ম (Religion), ধর্মের উৎপত্তি ও বিকাশ ও সমাজ গঠনে ধর্মের ভূমিকা

সমাজে নিজেদেরকে প্রধানত ৪টি প্রধান বর্ণে বিভক্ত করেছে, যথা- (১) ব্রাহ্মণ, (২) ক্ষত্রিয়, (৩) বৈশ্য এবং (৪) শূদ্র। তৃতীয়ত, কৃষিভিত্তিক সমাজে ভূমি মালিকানার ওপর ভিত্তি করে শ্রেণীবিন্যাস গড়ে ওঠে। চতুর্থত, সমাজে শ্রেণীবিন্যাসের আরেকটি কারণ হল অর্থনৈতিক। উৎপাদনের উপাদান যারা নিয়ন্ত্রণ করে, তারা সমাজে অন্যান্যদের ওপর কর্তৃত্ব করে। এর ফলে সমাজে স্তরবিন্যাস দেখা দেয়।

সামাজিক বৈষম্য ও গ্রাম শহরে ব্যবধান

বাংলাদেশের সামাজিক বিন্যাসের গ্রামীণ ও শহরের জীবনে ভিন্নতর প্রকৃতি পরিলক্ষিত হয়। গ্রামীণ সামাজিক স্তরবিন্যাসের যেসব উপাদান বিশেষ ভূমিকা পালন করে তার মধ্যে জমিই প্রধান। ভূ- সম্পত্তির পরিমাণ ও মালিকানার ভিত্তিতে গ্রামীণ সমাজে নিম্নলিখিত শ্রেণী দেখা যায়, যথা-

  • ভূমিহীন কৃষক : (ক) যাদের বসতবাড়ি ও কৃষিজমি কিছুই নেই, (খ) যাদের বসতবাড়ি আছে, কিন্তু কৃষিজমি নেই।
  • প্রান্তিক কৃষক : যাদের জমির পরিমাণ ১ একরের নিচে।
  • ছােট কৃষক : যাদের জমির পরিমাণ ১ থেকে ৩ একরের নিচে।
  • মধ্যম কৃষক : এদের জমির পরিমাণ ৩ থেকে ৭ একরের মধ্যে। এরা তুলনামূলকভাবে সচ্ছল এবং নিজেদের অবস্থা উন্নত করার সুযােগ এদের রয়েছে।
  • ধনী কৃষক : এদের জমির পরিমাণ ৭ একর থেকে তার ঊর্ধ্বে। এরা সরাসরি কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত নয়। ব্যবসা বাণিজ্য, গ্রামীণ রাজনীতি এরাই নিয়ন্ত্রণ করে। এদের অনেকেই শহরে বসবাস করছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশের শহর-সমাজে বিন্যাসের ক্ষেত্রে সম্পত্তির মালিকানা বা সম্পদ, ক্ষমতা ও শিক্ষা প্রভৃতি উপাদান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এসব উপাদানের ভিত্তিতে শহর-সমাজ পাঁচ শ্রেণীতে বিভক্ত। যথা

  • উচ্চবিত্ত : এরা নাগরিক ধনিক গােষ্ঠী। এদের মধ্যে রয়েছে নানা ধরনের কলকারখানার মালিক, শিল্পপতি, পণ্য বিপণন ও সেবামূলক খাতের ব্যবসায়ী, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় প্রতিনিধি, আমদানি রপ্তানিকারক প্রভৃতি।
  • উচ্চ মধ্যবিত্ত : মাঝারি শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী ছাড়াও বিভিন্ন দক্ষ পেশাজীবী এই শ্রেণীর অন্তর্গত।
  • মধ্যবিত্ত : এরা হল সীমিত আয়ের মানুষ, যেমন, ছােট চাকুরে, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, উৎপাদক ইত্যাদি।
  • নিম্ন মধ্যবিত্ত : এরা নিম্ন ধাপের চাকুরে, ছােট পুঁজির ব্যবসায়ী। দৈহিক শ্রম দিয়ে আয়ের বদলে এরা কিছুটা দক্ষ শ্রম দ্বারা অর্থোপার্জনে সক্রিয় থাকে।
  • নিম্নবিত্ত : নিম্নবিত্ত বলতে বােঝায় শহরের দরিদ্র মানুষদের। সংখ্যায় এরাই সবচেয়ে বেশি। অনেক ক্ষেত্রে এদের স্থায়ী আয়ের ব্যবস্থা নেই। স্থায়ী আবাসও নেই। এদের একাংশকে তাই ভাসমান মানুষ বলে। এরা দিনমজুরি করে, রিকশা চালায়, ঠেলাগাড়ি টানে, ইট ভাঙে ও এমনি আরাে নানা ধরনের প্রচলিত-অপ্রচলিত শ্রমের কাজ করে।

বাংলাদেশের সামাজিক স্তরবিন্যাসের প্রকৃতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, গ্রাম ও শহরের মধ্যে বৈষম্য এত প্রকট যে, গ্রামাঞ্চলের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি রাজধানী শহরে এসে নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। গ্রামের সম্পদ অনেকাংশে সীমিত। তাই সেখানে ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে ব্যবধান এতাে বেশি নয়। কিন্তু শহরে ধনসম্পদ অর্জনের সুযােগ অনেক বেশি। তাই শহরে একেবারে দরিদ্র বিত্তহীন এবং উচ্চবিত্ত ও ধনী নাগরিকদের মধ্যে সম্পদের ফারাক অনেক বেশি।

Md. Mahabub Alam

I am a committed educator, blogger and YouTuber and I am striving to achieve extraordinary success in my chosen field. After completing Masters in Anthropology from Jagannath University, I am working as Chief Accounts Officer in a national newspaper of the country. I really want your prayers and love.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button