আমাদের সকল পোস্ট ও ভিডিও হোয়াটসঅ্যাপে পেতে ফলো করুন :

Click Here
প্রশ্ন ও উত্তর

বর্তমানে সুন্দরবনের বাঘ গণনায় কোন পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়?

বর্তমানে সুন্দরবনের বাঘ গণনায় কোন পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়?
ভুল পাগমার্ক
সঠিক ক্যামেরা ট্র্যাপিং

সুন্দরবন বাংলাদেশের দক্ষিণ অংশে গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের বদ্বীপ এলাকায় অবস্থিত পৃথিবীর বৃহত্তম জোয়ারধৌত গরান বনভূমি (Mangrove Forest)। ‘সুন্দরবন’ নামটি সম্ভবত সুন্দরী বৃক্ষের আধিক্যের কারণে (সুন্দরী-বন) অথবা সাগরের বন (সমুদ্র-বন) কিংবা এ বনভূমির আদিবাসী চন্দ্রবেদে থেকে উদ্ভূত।

সাধারণভাবে গৃহীত ব্যাখ্যাটি হলাে এখানকার প্রধান উদ্ভিদ সুন্দরী বৃক্ষের নাম অনুসারেই এ বনভূমির নামকরণ। ১৯৭৫ সালে সুন্দরবনে প্রথমবারের মতাে বাঘ শুমারি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন সময় সুন্দরবনের বাঘ গণনা হলেও ২০০৪ সালে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (UNDP) সহায়তায় বন বিভাগ পাগমার্ক (পায়ের ছাপ) পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত জরিপে ৪৪০টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার গণনা করে ।

এই বিভাগ থেকে আরো পড়ুন

দু’বছর পর ২০০৬ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও বাঘ গবেষক ড. মনিরুল এইচ খান ক্যামেরা ট্র্যাপিং ও আপেক্ষিক সংখ্যা পদ্ধতি অনুসরণ করে জানান, সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ২০০টি। ২০১৫ সাল থেকে বন বিভাগ বাঘ গণনার ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতি ব্যবহার শুরু করে। সে জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশের সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ১০৬টি। এরপর ২০১৮ সালে ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতির মাধ্যমে আরেকটি বাঘ শুমারি করে। বন বিভাগ জানায়, সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ১১৪টি।

ক্যামেরা ট্র্যাপিং কী?

Camera Trapping বা ক্যামেরা ফাঁদ একটি দূরবর্তী স্থানে সক্রিয় রাখা যায় এমন ক্যামেরা, যা একটি Motion বা Infrared Sensor দিয়ে সজ্জিত থাকে। ক্যামেরা “ফাদ শিকারি ও বন্যপ্রাণী দেখার পাশাপাশি বন্যপ্রাণীদের ওপর গবেষণার জন্য ব্যবহৃত হয়। ক্যামেরা ফাঁদ আবার Trail Camera নামেও পরিচিত।

এ ক্যামেরাগুলাে সারাক্ষণই চালু থাকে এবং লেন্সের সামনে কোনাে নড়াচড়া ধরা পড়লেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছবি তােলে। এ পদ্ধতিতে তােলা ছবি একটি মেমােরি কার্ডে রক্ষিত হয়। এরপর প্রাপ্ত তথ্য ও নমুনা সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে একটি চূড়ান্ত সংখ্যা নির্ণয় করা হয়।

Md. Mahabub Alam

I am a committed educator, blogger and YouTuber and I am striving to achieve extraordinary success in my chosen field. After completing Masters in Anthropology from Jagannath University, I am working as Chief Accounts Officer in a national newspaper of the country. I really want your prayers and love.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button