পৌরনীতি ও নাগরিকতা

লিখিত সংবিধানের বৈশিষ্ট্য

লিখিত সংবিধানের যেসব উল্লেখযােগ্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে, সেগুলাে নিমে বর্ণিত হলাে

সুস্পষ্টতা :

লিখিত সংবিধানের অধিকাংশ ধারা লিখিত থাকে বলে এটি জনগণের নিকট সুস্পষ্ট ও বােধমগ্য হয়। লিখিত সংবিধানে সাধারণত সংশােধন পদ্ধতি উল্লেখ থাকে বিধায় খুব সহজে পরিবর্তন বা সংশােধন করা যায় না। কিন্তু সমাজ প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। লিখিত সংবিধান পরিবর্তিত সমাজের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে না। এজন্য এটি কখনাে কখনাে প্রগতির অন্তরায় হিসেবে কাজ করে। তাছাড়া অনেক সময় সংবিধান সংশােধনের জন্য জনগণ বিপ্লব করতে বাধ্য হয়।

স্থিতিশীলতা :

এ সংবিধানে সব কিছু লিখিত থাকে বিধায় শাসক তার ইচ্ছামতাে এটি পরিবর্তন বা সংশােধন করতে পারে না। তাই লিখিত সংবিধান যেকোনাে পরিস্থিতিতে স্থিতিশীল থাকতে পারে। লিখিত সংবিধানের সকল ধারা জনগণ ও শাসক মেনে চলতে বাধ্য হয়।

যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারব্যবস্থার উপযােগী :

লিখিত সংবিধান যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারব্যবস্থার জন্য উপযােগী। এ সংবিধানের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারব্যবস্থায় প্রাদেশিক ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে ক্ষমতা বণ্টন করে দেওয়া হয়। সংবিধান লিখিত না হলে যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারব্যবস্থায় এরূপ ক্ষমতা বণ্টন সম্ভব হতাে না। যেমন- ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে লিখিত সংবিধানের মাধ্যমে ক্ষমতা বণ্টন করে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, লিখিত সংবিধান যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের সফলতার পূর্বশর্ত।

আরো পড়ুন :

শাসক ও জনগণের সম্পর্ক :

লিখিত সংবিধানে শাসকের ক্ষমতা কী হবে, জনগণ কী কী অধিকার ভােগ করবে তার উল্লেখ থাকে। এর ফলে শাসক ও জনগণ নিজেদের ক্ষমতা ও অধিকার সম্বন্ধে স্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পারে।

Bcs Preparation

BCS Preparation provides you with course materials and study guides for JSC, SSC, HSC, NTRCA, BCS, Primary Job, Bank and many other educational exams.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button