
যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখ তাই পাইলেও পাইতে পারাে অমূল্য রতন
পৃথিবীতে কোনাে বস্তুকেই তুচ্ছজ্ঞান করা উচিত নয়। অতি তুচ্ছ বস্তুর মধ্যেও হয়তাে লুকিয়ে থাকতে পারে বিশাল কোনাে সম্ভাবনা। বস্তুর প্রয়ােজন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে পরিবর্তিত হয়। কাজেই বস্তুর স্বাভাবিক অন্তর্নিহিত গুণের কথা চিন্তা করে সব জিনিসকেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা আবশ্যক। অতি ক্ষুদ্র বা তুচ্ছ কোনাে বস্তুর মধ্যেও লুকিয়ে থাকতে পারে এমন কিছু শক্তি বা সম্ভাবনা, যা মানুষকে পৌঁছে দিতে পারে উন্নতির চরম শিখরে। মানুষ সাধারণত বড় বা মূল্যবান জিনিসের প্রতি মােহাবিষ্ট হয়ে পড়ে এবং ছােট ও নগণ্য জিনিসকে তুচ্ছ জ্ঞান করে অবহেলা করে। আসলে তা উচিত নয়, কারণ অনেক ক্ষুদ্র বা তুচ্ছ বস্তুর মধ্যেও অনেক মূল্যবান জিনিস লুকিয়ে থাকতে পারে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, স্বর্ণকার যে ছাই ফেলে দেয়, তা ধুয়েও স্বর্ণকণা পাওয়া যায়। প্রকৃতপক্ষে ছাই বলতে বােঝানাে হয়েছে পৃথিবীর তাবৎ তুচ্ছ অথচ মূল্যবান বস্তুকে। ক্ষুদ্র বলে কোনাে বস্তুকে তুচ্ছজ্ঞান করা উচিত নয়। প্রয়ােজনে ক্ষুদ্র বস্তুকে যাচাই-বাছাই, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা উচিত।
এই বিভাগের আরো ভাবসম্প্রসারণ :
- অর্থসম্পত্তির বিনাশ আছে কিন্তু জ্ঞানসম্পদ কখনাে বিনষ্ট হয় না
- অসি অপেক্ষা মসী অধিকতর শক্তিমান
- অনুকরণের দ্বারা পরের ভাব আপন হয় না অর্জন না করলে কোন বস্তুই নিজের হয় না
- অর্থই অনর্থের মূল
- অধর্মের ফল হইতে নিষ্কৃতি নাই
- মানুষের মৃত্যু হলে তবুও মানব থেকে যায়