আমাদের সকল পোস্ট ও ভিডিও হোয়াটসঅ্যাপে পেতে ফলো করুন :

Click Here
বাংলা প্রথম পত্র

মোতাহের হোসেন চৌধুরীর “শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব” প্রবন্ধ থেকে বোর্ড পরীক্ষায় আসার মতো সৃজশীল প্রশ্ন

শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব প্রবন্ধটি মােতাহের হােসেন চৌধুরীর ‘সংস্কৃতি কথা” গ্রন্থের মনুষ্যত্ব’ শীর্ষক প্রবন্ধের অংশবিশেষ। মানুষের দুটি সত্তা- একটি তার জীবসত্তা, অপরটি মানবসত্তা বা মনুষ্যত্ব। জীবসত্তার প্রয়ােজনে অন্নবস্ত্রের চিন্তা থেকে মুক্তি এবং শিক্ষা লাভের মাধ্যমে মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটে।শিক্ষার ফলে মনুষ্যত্বের স্বাদ পেলে অন্নবস্ত্রের সমস্যার সমাধান সহজ হয়ে ওঠে। শিক্ষার আসল কাজ মূল্যবােধ সৃষ্টি, জ্ঞান দান নয়; জ্ঞান মূল্যবােধ সৃষ্টির উপায়মাত্র। জীবসত্তার প্রয়ােজনেশষ।

সুমন ও শ্যামল বাল্যবন্ধু । দুজনই উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত । পেশাগত জীবনে সুমন বড় ব্যবসায়ী । গাড়ি , বাড়ি , টাকা – কড়ি কোনো কিছুরই অভাব নেই তার । সবাই তাকে এক নামে চেনে । আর শ্যামল শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেয় । গত সিডরে তাদের গ্রাম লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় । এ সময় শ্যামল তার ছাত্রদের নিয়ে ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করে অসহায় মানুষদের কাছে পৌছে দেয় । তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে । অথচ সুমন ছুটে এসে সাহায্যের বদলে অসহায় মানুষদের কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে বিঘার পর বিঘা জমি কিনে নেয়।

ক . মানব জীবনে মুক্তির জন্য মোতাহের হোসেন চৌধুরী কয়টি উপায়ের কথা বলেছেন ?
খ . আত্মার অমৃত উপলব্ধি করা যায় না কেন ?
গ . উদ্দীপকের সুমনের মাঝে শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব ‘ প্রবন্ধের যে দিকটি প্রকাশিত তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ . ‘ শ্যামলের কাজে শিক্ষার অপ্রয়োজনীয় দিকটি উপস্থিত শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব ‘ প্রবন্ধের । আলোকে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর ।

হাসমত ও ফেরদৌস একসাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শেষ করে উচ্চ পদে চাকরি নেয়। হাসমত কয়েক বছরের মধ্যেই প্রচুর সম্পদের মালিক হয়ে যায়। কিন্তু ফেরদৌস সচ্ছল জীবন-যাপন করলেও অর্থ-বিত্তের পেছনে ছোটে না; বরং তার সঞ্চয় থেকে গ্রামে দরিদ্র-অসহায় মানুষের জন্য কুটিরশিল্প তৈরির সংস্থা গড়ে তোলেন।

ক. বেশির ভাগ লোক তিমিরে রয়ে যাবে কেন?
খ. শিক্ষাকে মই বলা হয়েছে কেন?
গ. উদ্দীপকের হাসমতের চরিত্রে ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে?
ঘ. ‘উদ্দীপকের ফেরদৌসের কাজে প্রবন্ধের শিক্ষণীয় দিকটির প্রতিফলন ঘটেছে” – বিশ্লেষণ কর।

মানুষ বিধাতার সৃষ্টি হলেও নিজেকে শ্রেষ্ঠ করে গড়ে তোলার দায়িত্ব তার নিজের। পশুর যেভাবে জন্ম, সেভাবেই তার মৃত্যু। কিন্তু মানুষ তার চেষ্টা ও সাধনার দ্বারা নিজেকে কিছুটা পরিবর্তন করে নেয়। নিজেকে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাই তার প্রম ও প্রধান দায়িত্ব। আর নিজেকে উপযুক্ত করে গড়ে তোলার শ্রেষ্ঠ পদ্ধতি হলো শিক্ষা। প্রকৃত শিক্ষাই মানুষের কাছে ‘লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু’ প্রবাদটির সত্যতা স্পষ্ট করে তোলে।

ক. প্রবন্ধের প্রধান বাহন কী?
খ. কারা রুদ্ধ আহারতৃপ্ত মানুষের মূল্য কতটুকু? এ দ্বারা প্রাবন্ধিক কী বোঝাতে চেয়েছেন?
গ. উদ্দীপকে ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের কোন দিকটির সমর্থন করে? উপস্থাপন কর।
ঘ. “প্রকৃত শিক্ষাই মানুষের কাছে ‘লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু” প্রবাদটির সত্যতা স্পষ্ট করে তোলে।” ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।

হাসান সাহেব বিশ্ববিদ্যালয় পড়া শেষে বাবার ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। তিনি ব্যবসায়ে অধিক মুনাফা অর্জনের জন্য শ্রমিকদের বেতন ও বোনাসের কিছু অংশ কমিয়ে দেন। তিনি এখন প্রচুর অর্থ ও বিত্তের মালিক। তার বন্ধু হাফিজ সাহেব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বড় চাকরি করেন। তিনি অর্থ ও শ্রম দিয়ে তার গ্রামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। সেখানে তিনি শিক্ষার্থীদের নাচ, গান, আবৃত্তি ও নাটকসহ নানা সাংস্কৃতিক বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। মাঝে মাঝে তিনি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দুর্যোগপূর্ণ স্থানে নিয়ে যান।

ক. লোভের ফলে মানুষের কেমন মৃত্যু হয়?
খ. শিক্ষার অপ্রয়োজনের দিকটিকে লেখক শ্রেষ্ঠ দিক বলেছেন কেন ?
গ. উদ্দীপকের হাসান সাহেবের মধ্যে ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে – ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “ উদ্দীপকের হাফেজ সাহেবের চেতনায় ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের আসল উদ্দেশ্য ফুটে উঠেছে”- উক্তিটি মূল্যায়ন করো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button