টুকরো সংবাদ

মেটাভার্সই হবে ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ

প্রযুক্তি জগতে আলােচিত শব্দ ‘মেটাভার্স’। Meta শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ থেকে। এর অর্থ ‘গণ্ডির বাইরে। সায়েন্স ফিকশন লেখক নীল স্টিফেনসন ১৯৯২ সালে তার উপন্যাস ‘হাে-ক্র্যাশ’-এ সর্বপ্রথম Metaverse শব্দটি ব্যবহার করেন। এর আগে উইলিয়াম গিবসন ১৯৮৪ সালে নিউ রােমান্সসার উপন্যাসে একটি ভার্চুয়াল যৌথ ‘সাইবারস্পেস ধারণা চালু করেন। এ থেকেই মার্কিন লেখক নীল ‘Metaverse’ শব্দটি নেন।

এই বিভাগ থেকে আরো পড়ুন

উপন্যাসে তিনি এমন একটি জগতের কথা বলেন, যেখানে সশরীরে না থেকেও উপস্থিত থাকা যাবে।বিবর্তনের পরিক্রমায় ইন্টারনেটের পরের ধাপই হচ্ছে মেটাভার্স। মেটাভার্স হলাে ভার্চুয়াল জগৎ। সহজ ভাষায় বলা যায়, এটি হলাে বাস্তবতার সঙ্গে ডিজিটাল সংমিশ্রণ।

মেটাভার্সের মূল বৈশিষ্ট্য হবে উপস্থিতির অনুভুতি যেন আপনি বাস্তবেই অন্য ব্যক্তির সঙ্গে বা অন্য জায়গায় হাজির আছেন। অর্থাৎ মেটাভার্স হচ্ছে এমন এক অনলাইন জগৎ যেখানে ভার্চুয়াল দুনিয়ার মধ্যেই গেমিং, অফিসের কাজ এবং যােগাযােগ গণই করা যাবে। এর মাধ্যমে ভার্চুয়াল কনসার্টে যাওয়া, অনলাইনে বেড়াতে যাওয়া, আর্টওয়ার্ক দেখা বা তৈরি করা এবং ডিজিটাল পােশাক কে বা কেনার মতাে জিনিস করতে পারব আমরা।

প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, মেটাভার্সের কারণে ইন্টারনেটের ভার্চুয়াল জগতকে মনে হবে বাস্তব জগতের মতাে যেখানে মানুষের যােগাযােগ হবে বহুমাত্রিক। মেটাভার্স প্রযুক্তির মাধ্যমে আপনি কোনাে কিছু শুধু দেখতেই পাবেন না, তাতে নিজেকে জড়িয়ে ফেলতেও সক্ষম হবেন। বলা হচ্ছে, মেটাভার্সই হবে ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ।

Bcs Preparation

BCS Preparation provides you with course materials and study guides for JSC, SSC, HSC, NTRCA, BCS, Primary Job, Bank and many other educational exams.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button