আমাদের সকল পোস্ট ও ভিডিও হোয়াটসঅ্যাপে পেতে ফলো করুন :

Click Here
শিক্ষা

মধ্যযুগ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন

মধ্যযুগ

  • ১২০১ থেকে ১৮০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়কালকে মধ্যযুগ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
  • মধ্যযুগের অন্তর্গত ১২০১ থেকে ১৩৫০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত কোন উল্লেখযােগ্য সাহিত্য নিদর্শনপাওয়া যায়নি বলে এ সময়টাকে বলা হয় অন্ধকার যুগ’।
  • অন্ধকার যুগ (Barren age) ধরা হয় সেন আমলের শেষে তুর্কি যুগে।
  • তবে অন্ধকার যুগের লক্ষণীয় সাহিত্য হল ত্রয়ােদশ শতকে রামাই পণ্ডিত রচিত ধর্মপূজার শাস্ত্রগ্রন্থ শূন্যপুরাণ’।
  • এটি ছিল সংস্কৃত গদ্যপদ্য মিশ্রিত চম্পুকাব্য।
  • ‘নিরঞ্জনের উম্মা’ শূন্যপুরাণ গ্রন্থের অন্তর্গত একটি কবিতা।
  • এই কবিতায় ব্রাহ্মণ শাসনের পরিবর্তে মুসলিম শাসন কামনা করা হয়েছে।
  • এই সময়ে রাজা লক্ষণ সেনের সভাকবি হলায়ুধ মিশ্র রচনা করেন ‘সেক শুভােদয়া’।
  • এটিও ছিল সংস্কৃত গদ্যপদ্য মিশ্রিত চম্পুকাব্য।
  • মধ্যযুগের কাব্য ধারার প্রধান ধারা ৪টি।
  • মধ্যযুগের সাহিত্য ধারা ছিল ধর্ম নির্ভর।
  • মধ্যযুগের সাহিত্যে ধর্ম প্রচারক চৈত্যদেবের প্রভাব বেশি ছিল।
  • মধ্যযুগের কবি নন- জয়নন্দী (তিনি চর্যাপদের কবি)।
  • মধ্যযুগের প্রথম মুসলিম কবি শাহ মুহাম্মদ সগীর।

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন

  • মধ্যযুগে রচিত বাংলা ভাষার প্রথম কাব্য গ্রন্থ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’।
  • শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের রচয়িতা মধ্যযুগের আদি কবি বড়ু চণ্ডীদাস।
  • প্রধান চরিত্র- রাধা, কৃষ্ণ, বড়াই; বড়াই ছিল রাধা কৃষ্ণের প্রেমের দূতী।
  • ১৩ খণ্ড বিশিষ্ট এই কাব্য চতুর্দশ শতাব্দীতে রচিত হয়।
  • ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, এটি ১৪শ’ খ্রিস্টাব্দের; সুনীতিকুমার এর মতে, ১৪শ’ বা ১৪৫০ খ্রিস্টাব্দের রচনা।
  • ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে (১৩১৬ বঙ্গাব্দ) বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার কাঁকিল্যা গ্রামের এক গৃহস্থ বাড়ির গােয়ালঘর থেকে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য আবিষ্কার করেন এবং ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে (১৩২৩ বঙ্গাব্দে) নিজ সম্পাদনায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে প্রকাশ করেন।
  • বসন্ত রঞ্জন রায়কে ‘বিদ্বদ্বল্লভ’ উপাধি দেন ভূবন মােহন অধ্যক্ষ।
  • শ্রীকৃষ্ণকীর্তন আঙ্গিক বা গঠনগত দিক দিয়ে নাট্যগীত; প্রকরণের দিক থেকে পদাবলি, রস সঞ্চালনার দিক দিয়ে ধামালি আর কাহিনী বা বর্ণনার দিক দিয়ে প্রেমগীত ।
  • শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য এর প্রকৃত নাম শ্রীকৃষ্ণসন্দৰ্ব্ব (পুঁথিপ্রাপ্ত নাম)।

Md. Mahabub Alam

I am a committed educator, blogger and YouTuber and I am striving to achieve extraordinary success in my chosen field. After completing Masters in Anthropology from Jagannath University, I am working as Chief Accounts Officer in a national newspaper of the country. I really want your prayers and love.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button