আমাদের সকল পোস্ট ও ভিডিও হোয়াটসঅ্যাপে পেতে ফলো করুন :

Click Here
শিক্ষা

বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সৃজনশীল প্রশ্ন সমাধান পর্ব- ০১

বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সৃজনশীল প্রশ্ন সমাধান পর্ব- ০১

প্রশ্ন : গ্রিন হাউস ইফেক্ট কি? পরিবেশের ওপর এর ভূমিকা সম্পর্কে লিখুন।

উত্তর : গ্রিন হাউস ইফেক্ট কথাটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন সুইডিস রসায়নবিদ সােভনটে আরহেনিয়াস ১৮৯৬ সালে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিবর্তনশীল আবহাওয়ার প্রতিক্রিয়াকে গ্রিন হাউস ইফেক্ট বলে। বায়ুমণ্ডলে CFC, CO2, CH4, ও N2O প্রভৃতি গ্যাস দ্বারা স্তর সৃষ্টি হওয়ার কারণে বায়ুমণ্ডলের নিম্নস্তরে তাপ আটকে পড়ে এবং সার্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। এ তাপমাত্রা বৃদ্ধিজনিত কারণে পৃথিবীপৃষ্ঠে যে প্রভাব পড়ে তাই গ্রিন হাউস ইফেক্ট।

পরিবেশের ওপর এর প্রভাব : নিচে পরিবেশের ওপর এর প্রভাব উল্লেখ করা হলাে :

১. ভূপৃষ্ঠের নিচু এলাকায় প্লাবন : পৃথিবীর উত্তাপ বৃদ্ধির সাথে সাথে মেরু অঞ্চলের বরফ গলতে শুরু করবে। এর ফলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যাবে। এতে সমুদ্রের অনেক দ্বীপ, উপকূলীয় অঞ্চল, সমুদ্র উপকূলের দেশ ও শহর পানিতে ডুবে যাবে। আমাদের দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলই বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাবে। এর ফলে অনেক জীবন এবং জীববসতি বিপন্ন হবে।

২. মরুভূমির বৈশিষ্ট্য : গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়ায় ভূপৃষ্ঠের তাপ বৃদ্ধি পেলে মাটিতে পানির পরিমাণ কমে যাবে। ফলে সমগ্র ভূমি মরুভূমিতে পরিণত হবে। আমাদের দেশের উত্তরাঞ্চলে ইতিমধ্যে মরুভূমির বৈশিষ্ট্য দেখা দিয়েছে। এতে ফসল উৎপাদন ব্যাপক হারে হ্রাস পাবে।

৩. বনাঞ্চল ধ্বংস : পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে উদ্ভিদের জীবনধারণের স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হবে। এর ফলে বনাঞ্চল ধ্বংস হয়ে যাবে।

৪. এসিড বৃষ্টি ; গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়ার ফলে আবহাওয়ামণ্ডলে বিভিন্ন ক্ষতিকর গ্যাসের পরিমাণ বাড়ছে। এসব ক্ষতিকর অক্সাইডসমূহ বৃষ্টির পানির সাথে এসিড বৃষ্টি হিসেবে ভূপৃষ্ঠে পড়বে এবং ভূপৃষ্ঠের উর্বরতা আশঙ্কাজনকভাবে হাস পাবে এবং বনাঞ্চলে এসিড বৃষ্টি হলে বনাঞ্চল ধ্বংস হয়ে যাবে।

এছাড়া গ্রিন হাউস ইফেক্টের প্রভাবে বায়ুমণ্ডলের ওজোনস্তরে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মিসমূহ পৃথিবীতে প্রবেশ করছে, যা মানবজীবনের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ১৯৮৫ সালে জেনাহান শাকলিন সর্বপ্রথম এন্টার্কটিকার ওপরে ওজোনস্তরে ফাটল আবিষ্কার করেন।

প্রশ্ন : সুনামি কি?

উত্তর : ‘সুনামি’ জাপানি শব্দ, যার অর্থ সামুদ্রিক ঢেউ । সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্প বা শিলাস্তরের চ্যুতি ঘটলে সমুদ্রে বড় বড় ঢেউয়ের সৃষ্টি হয় এবং এ ঢেউ প্রবল প্রতাপে সমুদ্র উপকূলে আছড়ে পড়ে উপকূলীয় অঞ্চলে আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি করে। এ ঢেউয়ের প্রচণ্ডতা এতটাই বেশি যে নিমিষেই ব্যাপক প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষতিসাধন করে। ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ভারত মহাসাগরে সংঘটিত সুনামিতে উপকূলীয় দেশগুলােতে অসংখ্য প্রাণহানি ঘটে।

প্রশ্ন : ভূমিকম্প কেন হয়?

উত্তর : সাধারণভাবে তিনটি প্রধান কারণে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হতে পারে।
ক. ভূপৃষ্ঠজনিত,
খ. আগ্নেয়গিরিজনিত ও
গ. শিলাচ্যুতিজনিত কারণ।

১. ভূপৃষ্ঠজনিত কারণ : বিভিন্ন কারণে কোনাে কোনাে সময় পাহাড়ি এলাকায় ধস নামে ফলে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়।
২. আগ্নেয়গিরিজনিত কারণ : আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ ও গলিত লাভা উৎক্ষিপ্ত হওয়ার ফলে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হতে পারে। ভূগর্ভ থেকে গলিত লাভা বেরিয়ে আসার চেষ্টায় প্রচণ্ড শক্তিতে আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের (Crater) ভেতরের ভূস্তরে আঘাত করতে থাকে। এ প্রচণ্ড সংঘর্ষে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হতে পারে।
৩. শিলাচ্যুতিজনিত কারণ : ভূগর্ভের ভেতরে শিলাচ্যুতির ফলে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও ভূত্বকের পরিবর্তন, তাপ বিকিরণ, গর্ভের চাপের হাস, পানি বাষ্পীভবন, ভূত্বকের শীতলতাপ্রাপ্তি, হিমবাহ (Glacier), ভূ-আন্দোলন, খনির ভাঙন, বিস্ফোরণের প্রভাব প্রভৃতি প্রাকৃতিক শক্তির কারণেও ভূমিকম্পের সৃষ্টি হতে পারে।

প্রশ্ন : বায়ুমণ্ডল কাকে বলে? বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তরগুলাের নাম লিখুন।

উত্তর : পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ঊধ্বদিকে যে গ্যাসীয় আবরণ সমগ্র পৃথিবীকে বেষ্টন করে রেখেছে তাকে বায়ুমণ্ডল বলে । সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে যতই ওপরে ওঠা যায় বায়ুমণ্ডল ততই হালকা হতে থাকে। বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন উপাদানের ৯৭% ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ২৯ কিলােমিটারের মধ্যে অবস্থান করলেও বিজ্ঞানীদের মতে, বায়ুমণ্ডলের ঊর্ধ্বসীমা ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০,০০০ কিলােমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত।

বায়ুমণ্ডলের স্তর : বায়ুমণ্ডলের স্তরগুলাে একের পর এক সজ্জিত। পৃথিবীর এ বায়বীয় আবরণে চারটি স্তর আছে । যথা : ট্রপােমণ্ডল, স্ট্রাটোমণ্ডল, মেসােমণ্ডল ও তাপমণ্ডল।

১. ট্রপােমণ্ডল : ভূপৃষ্ঠের নিকটবর্তী বায়ুমণ্ডল স্তরকে বলা হয় ট্রপােমণ্ডল। বায়ুর এ স্তর ভূপৃষ্ঠ থেকে ওপরের দিকে গড়ে প্রায় ১২.৮৭ কিমি. পর্যন্ত বিস্তৃত। বায়র এ স্তর মানুষের সবচেয়ে প্রয়ােজনীয় স্তর। এ স্তরে প্রতি কিলােমিটারে ৬.৪° সেলসিয়াস তাপেরহাস হয়।

২. স্ট্রাটোমণ্ডল : বায়ুর এ স্তর ট্রপােমণ্ডলের ওপরের দিকে প্রায় ৫০ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত। এ মণ্ডলের বায়ু অত্যন্ত লঘু, এর প্রবাহ খুবই ক্ষীণ।

৩. মেসােমণ্ডল : স্ট্রাটোমণ্ডলের ওপরের স্তর থেকে প্রায় ৮০ কিলােমিটার পর্যন্ত উষ্ণতা দ্রুত হাস | পায়। এ স্তরকে মেসােমণ্ডল বলে। ৮০ কিলােমিটারের পরে পুনরায় উষ্ণতা বাড়তে থাকে। এর নাম মেসােবিরতি।

৪. তাপমণ্ডল ; মেসােবিরতির ওপরের অংশ থেকে তাপমণ্ডল শুরু হয়। এ স্তরেই বিদ্যুৎ চমকাতে দেখা যায়। এর বহিঃসীমাকে এক্সোস্ফিয়ার (Exosphere) বলে।

প্রশ্ন : পরিবেশ সংরক্ষণে গাছের ভূমিকা আলােচনা করুন।

উত্তর : পরিবেশ সংরক্ষণে গাছের ভূমিকা ব্যাপক ও সুদূরপ্রসারী। বিশেষজ্ঞদের মতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও সুষম জলবায়ুর প্রয়ােজনে একটি দেশের মােট আয়তনের অন্তত ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা আবশ্যক। যেসব এলাকা জুড়ে পত্রবহুল গাছ জন্মানাে হয় সেসব এলাকায় উদ্ভিদ থেকে বেরিয়ে আসা। জলীয় বাষ্প স্থানীয়ভাবে আবহাওয়াকে প্রভাবিত করতে পারে। যেখানে বনাঞ্চল বেশি থাকে সেখানকার বাতাস আর্দ্র থাকে। এই আর্দ্র বাতাস একসাথে জমা হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায় এবং সেখানকার বাতাসকে শীতল রাখতে সাহায্য করে। আবার যদি কোনাে এলাকায় ব্যাপকভাবে গাছপালা কাটা হয় এবং পূরণ করা না হয় তাহলে সেখানে বৃষ্টিপাত কমে যায়, ফসল উৎপাদন ব্যাহত হয় এবং ব্যাপক এলাকা অনুর্বর। হয়ে কালক্রমে মরুভূমিতে পরিণত হয়। তাছাড়া বায়ুমণ্ডলের কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে গাছ বায়ুমণ্ডলের ভারসাম্য রক্ষা করে। অন্যথায় প্রাণীকুল বায়ুমণ্ডল থেকে যে অক্সিজেন গ্রহণ করে ও কার্বন ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করে তার ফলে বায়ুমণ্ডল বিষাক্ত হয়ে যেত এবং প্রাণীকুল ধ্বংস হয়ে যেত ।

প্রশ্ন : জীবজগতের ওপর ওজোন স্তর ক্ষয়ের প্রভাব বর্ণনা করুন।

উত্তর : জীব জগতের ওপর ওজোন স্তর ক্ষয়ের প্রভাব সম্বন্ধে বিজ্ঞানীরা নানা তথ্য দিয়েছেন। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন ওজোন স্তর ক্ষয়ের কারণে অতিবেগুনি রশ্মি পৃথিবী পৃষ্ঠে চলে এলে নিম্নলিখিত ক্ষতিগুলাে হতে পারে :
ক. প্রাণিদেহে রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতা কমে যাবে।
খ. চোখে ছানি পড়বে ।।
গ. ত্বকের ক্যান্সার এবং অন্যান্য রােগব্যাধির সূচনা হবে। ধারণা করা হচ্ছে যে, ৫% ওজোন স্তরের ক্ষয়ের জন্য সারা বিশ্বে ৫ লাখ লােক স্কিন ক্যান্সারে ভুগবে। একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ১% অতিবেগুনি রশ্মি বৃদ্ধির ফলে সাদা চামড়ার লােকদের মধ্যে নন মেলােনােমা ত্বকের ক্যান্সার বৃদ্ধি পাবে ৪ গুণ ।
ঘ. অতিবেগুনি রশ্মি খাদ্যশস্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
ঙ. প্রাণিজগতের অনেক প্রজাতির বিলুপ্তি ঘটতে পারে ।
চ. বৃক্ষাদি এবং অরণ্যসমূহ নিমূল হয়ে যাবে ।
ছ. উদ্ভিদের পাতাগুলাে আকারে ছােট হয়ে যাবে।
জ. বীজের উল্কর্ষতা নষ্ট হবে।
ঝ. ফসলের আগাছা, রােগ ও পােকা মাকড়ের আক্রমণ বেড়ে যাবে।
ঞ. অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব জীবকোষের উপর খুবই ক্ষতিকারক। এটা জীব কোষের সৃষ্টি এবং বুদ্ধিকে ব্যাহত করতে পারে এবং অনেক ক্ষেত্রে কোষগুলােকে ভেঙ্গে ফেলতে পারে।
ট. ক্ষুদ্র মাইক্রোঅর্গানিজম, সমুদ্র শৈবাল এবং প্লাংকটন অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে ধ্বংস হয়ে | যাবে। ফলে প্রাকৃতিক খাদ্যচক্রকে প্রভাবিত করে ক্ষতি সাধন করবে।

প্রশ্ন : ট্রপােস্ফিয়ারে ওজোন ক্ষতিকর, কিন্তু স্ট্রাটোস্ফিয়ারে এটি প্রয়ােজনীয় কেন?

উত্তর : টপােস্ফিয়ার পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সর্বনিম্ন স্তর । আমরা এই স্তরের মধ্যে বসবাস করি। এই করে ওজোনের অবস্থানের ফলে গ্রিন হাউস ইফেক্টের মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা আমাদের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু স্ট্রাটোস্ফিয়ার বায়ুমণ্ডলের তৃতীয় স্তর। এ স্তরের তাপমাত্রা সব সময়ই খুব কম থাকে। ফলে এখানে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলেও জনজীবনের কোনাে ক্ষতি করে না। সেজন্য এ স্তরে ওজোন প্রয়ােজনীয়।

প্রশ্ন : বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা বলতে কি বােঝায়?

উত্তর : কোনাে স্থানের বায়ুকে কোনাে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সম্পৃক্ত করতে যে পরিমাণ জলীয় বাষ্পের প্রয়ােজন হয় এবং ঐ নির্দিষ্ট বায়ুতে যে পরিমাণ জলীয় বাষ্প আছে তাদের অনুপাতের শতকরা হারকে ঐ বায়ুর আপেক্ষিক আর্দ্রতা বলে ।

প্রশ্ন : শিশির কেন উৎপন্ন হয়?

উত্তর : কোনাে সম্পৃক্ত বায়ুর তাপমাত্রা কমে গেলে এবং ঐ বায়ুতে অতিরিক্ত আর্দ্রতা থাকলে অতিরিক্ত আর্দ্রতা ঘনীভূত হয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলকণায় পরিণত হয়। এই জলকণাকে শিশির বলে। সাধারণত শীতকালে শিশির উৎপন্ন হয়।

প্রশ্ন : গ্রিন হাউস প্রভাব কি? পৃথিবীর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে জলীয় বাষ্প ও কার্বন ডাইঅক্সাইডের ভূমিকা কি?

উত্তর : ওজোন স্তরে ক্ষত সৃষ্টি হলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে কৃষি ও পরিবেশের ওপর যে বিরূপ প্রভাব ফেলে, একেই গ্রিন হাউস প্রভাব বলে। বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি এবং কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ কম হলে পৃথিবীর তাপমাত্রা কমে যায়। পক্ষান্তরে পৃথিবীর বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে গেলে তাপমাত্রা বেড়ে যাবে।

প্রশ্ন : SMOG কি? এর উৎপত্তির কারণ ও ক্ষতিকর প্রভাব বর্ণনা করুন।

উত্তর : SMOG শব্দটি SMOKE ও FOG-এর মিলিত রূপ। অর্থাৎ ধোয়া ও কুয়াশা মিলে ধোয়াশা (SMOG) সৃষ্টি করে। সাধারণত শিল্পবহুল এলাকায় SMOG সৃষ্টি হয়। অতিরিক্ত SMOG সৃষ্টি হলে পরিবেশ দূষণ ঘটে এবং মানুষের শ্বাসকষ্ট, ব্রংকাইটিস প্রভৃতি রােগ দেখা যায় ।

প্রশ্ন : যানবাহন থেকে বিষাক্ত কার্বন মনােক্সাইড ও নাইট্রোজেন অক্সাইড কেন নির্গত হয়?

উত্তর : যানাহনের জ্বালানি হিসেবে সাধারণত ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেন ব্যবহার হয়ে থাকে। এগুলাে এক ধরনের জৈব যৌগ। যানবাহনের ইঞ্জিনের মধ্যে জ্বালানি ও বাতাসকে প্রজ্বলন করে তাপ ও ‘চাপের সৃষ্টি করা হয় কিন্তু কিছু জ্বালানি প্রজ্বলিত হয় না। এগুলাে বায়ুর অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে কালাে ধোঁয়ার আকারে কার্বন মনােক্সাইড ও নাইট্রোজেন অক্সাইড হিসেবে বের হয়।

Md. Mahabub Alam

I am a committed educator, blogger and YouTuber and I am striving to achieve extraordinary success in my chosen field. After completing Masters in Anthropology from Jagannath University, I am working as Chief Accounts Officer in a national newspaper of the country. I really want your prayers and love.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button