আমাদের সকল পোস্ট ও ভিডিও হোয়াটসঅ্যাপে পেতে ফলো করুন :

Click Here
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি

বাগযন্ত্র | বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি নবম-দশম শ্রেণি

বাগযন্ত্র

ধ্বনি উচ্চারণ করতে যেসব প্রত্যঙ্গ কাজে লাগে, সেগুলােকে একত্রে বাগযন্ত্র বলে। মানবদেহের উপরিভাগে অবস্থিত ফুসফুস থেকে শুরু করে ঠোট পর্যন্ত ধ্বনি উৎপাদনে ব্যবহৃত প্রতিটি প্রত্যঙ্গই বাগযন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত। বাগযন্ত্রের বিভিন্ন অংশ নিচের ছবিতে দেখানাে হলাে এবং এগুলাের সংক্ষিপ্ত পরিচয় পর্যায়ক্রমে তুলে ধরা হলাে।

বাগযন্ত্র

ফুসফুস

ধ্বনি সৃষ্টিকারী বায়ুপ্রবাহের উস ফুসফুস। ফুসফুস শ্বাস গ্রহণ ও ত্যাগ করে। মূলত শ্বাস ত্যাগের মাধ্যমে ধ্বনি উৎপন্ন হয়।

আরো পড়ুন : ব্যাকরণ ও বাংলা ব্যাকরণ

শ্বাসনালি

ফুসফুস থেকে বাতাস শ্বাসনালি হয়ে মুখবিবর ও নাসারন্ধ্র দিয়ে বের হয়ে আসে।

স্বরযন্ত্র

শ্বাসনালির উপরের অংশে স্বরযন্ত্রের অবস্থান। মেরুদণ্ডের ৪, ৫ ও ৬ নং অস্থির পাশে থাকা এই অংশটি নলের মতাে। বাতাস স্বরযন্ত্রের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আসে বলে ধ্বনির সৃষ্টি হয়। অধিজিহ্বা, স্বররন্ধ্র, ধ্বনিদ্বার ইত্যাদি স্বরযন্ত্রের অংশ।

জিভ

মুখগহ্বরের নিচের অংশে জিভের অবস্থান। বাগযন্ত্রের মধ্যে জিভ সবচেয়ে সচল ও সক্রিয় প্রত্যঙ্গ। জিভের উচ্চতা অনুযায়ী, সম্মুখ-পশ্চাৎ অবস্থান অনুযায়ী এবং মুখগহ্বরের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে জিভের স্পর্শের প্রকৃতি অনুযায়ী ধ্বনির বৈচিত্র্য তৈরি হয়।

এই বিভাগ থেকে আরো পড়ুন

আলজিভ

মুখগহ্বরের কোমল তালুর পিছনে ঝুলন্ত মাংসপিণ্ডের নাম আলজিভ। ধ্বনি উচ্চারণের সময়ে কোমল তালুর সঙ্গে আলজিভ নিচে নেমে এলে বাতাস মুখ দিয়ে পুরােপুরি বের না হয়ে খানিকটা নাক দিয়ে বের হয়। এর ফলে নাসিক্য ধ্বনি তৈরি হয়।

তালু

মুখবিবরের ছাদকে বলা হয় তালু। তালুর দুটি অংশ – কোমল তালু ও শক্ত তালু। অনুনাসিক স্বরধ্বনি উচ্চারণে কোমল তালু নিচে নামে। কোমল তালু ও জিভমূলের স্পর্শে কণ্ঠধ্বনি উচ্চারিত হয়। দন্তমূলের শুরু থেকে কোমল তালু পর্যন্ত বিস্তৃত অংশকে বলা হয় শক্ততালু।

মূর্ধা

শক্ত তালু ও উপরের পাটির দাঁতের মধ্যবর্তী উত্তল অংশকে মূর্ধা বলে। কোনাে কোনাে ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময়ে জিভ মূর্ধাকে স্পর্শ করে।

আরো পড়ুন : ভাষা ও বাংলা ভাষা

দন্তমূল ও দন্ত

দাঁতের গােড়ার নাম দন্তমূল। উপরের পাটির দন্তমূল ও দাঁতের সঙ্গে জিভের স্পর্শে বেশ কিছু ধ্বনি উৎপন্ন হয়।

ওষ্ঠ

বাকপ্রত্যঙ্গের সবচেয়ে বাইরের অংশের নাম ওষ্ঠ বা ঠোট। ওষ্ঠের মধ্যকার ফাকের কম-বেশির ভিত্তিতে স্বরধ্বনিকে সংবৃত ও বিবৃত এই দুই ভাগে ভাগ করা হয়। এছাড়া ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণ করতে ওষ্ঠ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

নাসিকা

মুখগহ্বরের পাশাপাশি নাসিকা বা নাকের ছিদ্র দিয়ে বাতাস বের হয়েও ধ্বনি উৎপন্ন হয়।

অনুশীলনী

১. কোনটি বাগযন্ত্র?
ক. পাকস্থলী
খ. ফুসফুস
গ. পিত্তকোষ
ঘ. যকৃৎ

২. ফুসফুস থেকে তৈরি বাতাস কিসের মাধ্যমে বের হয়?
ক, নাসারন্ধ্র।
খ, মুখবিবর
গ. তালু
ঘ. ক ও খ উভয়ই

৩. স্বরযন্ত্রের কোন অংশ ধ্বনি তৈরিতে সরাসরি ভূমিকা পালন করে –
ক. বলয় উপাস্থি
খ. মুখবিবর
গ. নাসারন্ধ্র
ঘ. নাসিকা

৪. বাগযন্ত্রের মধ্যে সবচেয়ে সচল অঙ্গ কোনটি?
ক. দাঁত
খ. মূর্ধা
গ. দন্তমূল
ঘ. জিভ

৫. মুখ-গহ্বরের কোন অংশে তালুর অবস্থান?
ক. সামনে
খ. পিছনে
গ. উপরে
ঘ. নিচে

৬. কোমল তালুর সঙ্গে আলজিভ নিচে নেমে এলে বাতাস বের হয় –
ক. নাক দিয়ে
খ. কান দিয়ে
গ. মুখ দিয়ে
ঘ. স্বরযন্ত্র দিয়ে

Md. Mahabub Alam

I am a committed educator, blogger and YouTuber and I am striving to achieve extraordinary success in my chosen field. After completing Masters in Anthropology from Jagannath University, I am working as Chief Accounts Officer in a national newspaper of the country. I really want your prayers and love.
Back to top button