আমাদের সকল পোস্ট ও ভিডিও হোয়াটসঅ্যাপে পেতে ফলো করুন :

Click Here
বিসিএস ডাইজেস্ট

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস

পাকিস্তান গণপরিষদ বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়— ৯ মে, ১৯৫৪; জাতীয় পরিষদ উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়— ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৬।

১৯৫২ সালে তৎকালীন ভাষা আন্দোলন জন্ম দিয়েছিল এক নতুন জাতীয় চেতনার।

ভাষা আন্দোলনের মুখপত্র – সাপ্তাহিক সৈনিক।

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ছিল বৃহস্পতিবার, ৮ ফাল্গুন, ১৩৫৮ বঙ্গাব্দ।

‘এখানে যারা প্রাণ দিয়েছে রমনার ঊর্ধ্বমুখী কৃষ্ণচূড়ার নিচে সেখানে আমি কাঁদতে আসিনি’ কবিতার রচয়িতা মাহবুব উল আলম চৌধুরী।

একুশের প্রথম গান ‘ভুলব না’ ভুলব না, একুশে ফেব্রুয়ারি ভুলব না’ রচনা করেন— ভাষা সৈনিক আ ন ম গাজীউল হক।

ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংকলন ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ গ্রন্থের সম্পাদক হাসান হাফিজুর রহমান।

কুমড়াে ফুলে ফুলে নুয়ে পড়েছে লতাটা খােকা তুই কবে আসবি’ পঙক্তির রচয়িতা- আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ।

১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে পূর্ব পাকিস্তানের জনসংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৪০ লক্ষ।

উর্দু বনাম বাংলা বিতর্ক প্রথম ওঠে ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে নিখিল ভারত মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার সময়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাশেমের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয়— তমদুন মজলিস।

রাষ্ট্রভাষা বাংলার পক্ষে বলেছিলেন এমন দুজন সাহিত্যিকের নাম— ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ও আবুল মনসুর আহমেদ।

রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়—১৯৪৭ সালে ।

রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন অধ্যাপক নূরুল হক ভূইয়া।

গণপরিষদে বাংলাকে সরকারি কাজে ব্যবহারের দাবি করেছিলেন গণপরিষদ সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। তার এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানান—সংসদ সদস্য প্রেমহরি বর্মণ, ভূপেন্দ্র কুমার দত্ত এবং শ্ৰীশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। বিরােধিতা করেছিলেন– তমিজউদ্দীনের নেতৃত্বে মুসলিম লীগের সদস্যরা।

দ্বিতীয়বারের মত রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয় ১৯৪৮ সালে, আহ্বায়ক ছিলেন শামসুল আলম।

রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের প্রথম ধর্মঘট পালিত হয়—১১ মার্চ, ১৯৪৮।

জিন্নাহ রেসকোর্স ময়দানে ভাষণ দেন—২১ মার্চ, ১৯৪৮, তিনি বলেন— উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা।

‘পূর্ব বাংলা ভাষা কমিটির নেতা ছিলেন- মওলানা আকরম খাঁ।

“পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু” খাজা নাজিমউদ্দীন ভাষণে বলেন- ২৭ জানুয়ারি, ১৯৫২।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বার লাইব্রেরি হলে মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে ৪০ সদস্যের সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মী পরিষদ গঠিত হয়—৩১ জানুয়ারি, ১৯৫২।

সরকারের স্থানীয় সরকার প্রশাসনের মাধ্যমে ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকায় ১ মাসের জন্য সভা, সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি ২০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২।

সলিমুল্লাহ হলে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের সিদ্ধান্ত- ২০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২। (বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা নবম-দশম শ্রেণি) ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২ আন্দোলনের চুড়ান্ত দিনে পুলিশের গুলিতে আন্দোলনকারী কয়েকজনের মৃত্যু।

এই বিভাগ থেকে আরো পড়ুন

২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২ শহীদ মিনার নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ২৪ তারিখে নির্মাণ কাজ শেষ হয়।

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানাে….. কবিতা আকারে লিফলেটে প্রকাশিত হয়—১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে।

১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে বাংলাকে উর্দু ভাষার পাশাপাশি রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

বাবা উর্দুর প্রকৃত নাম আবদুল হক।

তিনি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা প্রদানের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান।

সরকারের সমর্থনে প্রথম ২১ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় – ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে।

বাংলাকে পাকিস্তানের ২য় রাষ্ট্রভাষা মর্যাদা দিয়ে সংবিধানে পরিবর্তন আনা হয়—২৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৬।

বাংলাকে পাকিস্তানের ২য় রাষ্ট্রভাষা হিসেবে মর্যাদা দেয়া হয়—সংবিধানের ২১৪(১) অনুচ্ছেদে।

বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত সংক্রান্ত অনুচ্ছেদটি ছিল— The State Language of Pakistan shall be Urdu and Bengali.

“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানাে” গানটির গীতিকার আব্দুল গাফফার চৌধুরী এবং সুরকার আলতাফ মাহমুদ, প্রথম সুরকার আব্দুল লতিফ। ভাষা আন্দোলনভিত্তিক বিখ্যাত নাটকের নাম ‘কবর’, নাট্যকার- মুনীর চৌধুরী।

ইউনেস্কোর ৩০তম সাধারণ অধিবেশন ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়— ১৭ নভেম্বর, ১৯৯৯।

আন্তর্জাতিকভাবে এ দিবস উদযাপন শুরু করা হয়—২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে।

বর্তমান শহীদ মিনারের স্থপতি হামিদুর রহমান।

শহীদ মিনারের মূল বেদির উপর অর্ধ-বৃত্তাকারে সাজানাে ৫টি স্তম্ভের প্রতীকী অর্থ— মা তার শহীদ সন্তানদের সাথে দাঁড়িয়ে আছেন।

১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দের ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারের উদ্বোধন করেন- ভাষা শহীদ আবুল বরকতের মা হাসনা বেগম।

১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকস্তানি বাহিনী শহীদ মিনার ধ্বংস করে, ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে সরকার এটি পুনরায় নির্মাণ করে।

দেশের বাইরে প্রথম শহীদ মিনার যুক্তরাজ্যের ওল্ডহ্যামে (১৯৯৭), লন্ডনে (১৯৯৯) এবং টোকিওতে (২০০৫), (বাংলা পিডিয়া)।

বাংলাদেশের বাইরে ১৯ মে, ১৯৬১ আসামের শিলচর রেল স্টেশনে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার দাবি জানানাে হয়, এ ঘটনায় ১১ জন শহীদ হয়েছিলেন।

বাংলাদেশ ভূ-খণ্ডের বাইরে বাংলাকে আধা-সরকারি ভাষার মর্যাদা দেয়া হয়- আসামের বাঙালি অধ্যুষিত ৩টি জেলাতে।

বাংলাকে দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষা করা হয়েছে— সিয়েরালিয়নে।

সর্বপ্রথম বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানায় তমদুন মজলিশ।

তমদুন মজলিশের রাষ্ট্রভাষা সংক্রান্ত পুস্তিকাটির নাম ছিল— “পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু?” (এটি ভাষা আন্দোলনের প্রথম পুস্তিকা)।

পুস্তকটি প্রকাশিত হয় ১৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে।

লেখক ছিলেন অধ্যাপক আবুল কাসেম, ড. কাজী মােতাহার হােসেন ও আবুল মনসুর আহমেদ।

১৯৪৭ সালে তমদুন মজলিশের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম।

বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দানের জন্য এবং উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার বিরােধিতা করা হয় শিক্ষামন্ত্রী ফজলুল হকের উদ্যোগে আয়ােজিত পাকিস্তান এডুকেশনাল কনফারেন্সে’।

পূর্ব পাকিস্তান স্টুডেন্টস লীগের জন্ম ১৯৪৮ সালে, প্রথম সভাপতি কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান।

পূর্ব পাকিস্তান স্টুডেন্টস লীগ গঠনের মূল লক্ষ্য ছিল মুসলিম লীগ সরকারের এন্টি-বেঙ্গলি পলিসির বিপক্ষে প্রতিরােধ গড়ে তােলা।

বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘােষণার জন্য স্টুডেন্ট এ্যাকশন কমিটি ধর্মঘটের ডাক দেয়—১১ মার্চ ১৯৪৮।

১৯৪৮-৫২ এর ভাষা আন্দোলনের সময়কালে প্রতি বছর ভাষা দিবস’ বলে একটি দিন পালন করা হতাে সে দিনটি ছিল—১১ মার্চ।

পাকিস্তানের ৩.২৭ (বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব পরিচয়, নবম-দশম শ্রেণি) শতাংশ মানুষের মুখের ভাষা ছিল— উর্দু।

৫৬ শতাংশ মানুষের মুখের ভাষা ছিল বাংলা।

২৪ মার্চ, ১৯৪৮ কার্জন হলে অনুষ্ঠিত সমাবর্তনে জিন্নাহর ভাষণের শিরােনাম ছিল— ‘স্টুডেন্টস রােল ইন ন্যাশন বিল্ডিং’।

বাংলাকে আরবি হরফে প্রচলন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন— খাজা নাজিমউদ্দীন।

ভাষা আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন— ড. এস. এম. হােনেইন।

সচিবালয়ে কর্মরত ভাষা শহীদের নাম আব্দুস সালাম।

২২ ফেব্রুয়ারি বাহাদুর শাহ পার্ক-এ বক্তৃতা প্রদান করেন— অলি আহাদ, আব্দুল মতিন, কাজী গােলাম মাহবুব।

সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন কাজী গােলাম মাহবুব।

ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী উল্লেখযােগ্য কয়েকজন নারী নাদিরা চৌধুরী, হামিদা রহমান, রহিমা খাতুন, সালেহা খাতুন, হাজেরা মাহমুদ, যােবেদা খাতুন চৌধুরী, লিলি চক্রবর্তী, শামসুন্নাহার, রওশন আরা, বাচ্চু, সুফিয়া ইব্রাহীমসহ আরও অনেকে। (তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি)

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট অবস্থিত— ঢাকার সেগুনবাগিচায়, শিল্পকলা একাডেমি ভবনের পাশে।

রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে বিভিন্ন সময়ে গঠিত সংগ্রাম পরিষদ

নাম তারিখ আহ্বায়ক
রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ ১ অক্টোবর, ১৯৪৭ অধ্যাপক নূরুল হক ভুঞা
রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ (২য় বার) ২ মার্চ, ১৯৪৮ শামসুল আলম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম ১১ মার্চ, ১৯৫০ আবদুল মতিন
পরিষদ সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ ৩১ জানুয়ারি, ১৯৫২ কাজী গােলাম মাহবুব

 (তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি)

Md. Mahabub Alam

I am a committed educator, blogger and YouTuber and I am striving to achieve extraordinary success in my chosen field. After completing Masters in Anthropology from Jagannath University, I am working as Chief Accounts Officer in a national newspaper of the country. I really want your prayers and love.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button