১৯৭২ সালে সংবিধান প্রণয়নের পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের সংবিধান মােট ১৬ বার সংশােধন করা হয়েছে। বাংলাদেশ সংবিধানের ১৬টি সংশােধনীর প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য নিম্নে বর্ণিত হলাে
সংশােধনী
|
সময় |
বিষয়বস্তু |
প্রথম সংশােধনী |
জুলাই, ১৯৭৩ |
- ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার মানবতাবিরােধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিধান করা হয়।
|
দ্বিতীয় সংশােধনী |
সেপ্টেম্বর, ১৯৭৩ |
- দেশের ভেতরে গােলযােগ, যুদ্ধের আশঙ্কা কিংবা মানুষের জীবনযাত্রায় সংকট দেখা দিলে রাষ্ট্রপতিকে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে জরুরি অবস্থা ঘােষণার ক্ষমতা দেওয়া হয়।
|
তৃতীয় সংশােধনী |
নভেম্বর, ১৯৭৪ |
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মধ্যে ভারত বাংলাদেশের সীমান্ত সংক্রান্ত যে চুক্তি হয়, তৃতীয় সংশােধনীতে তা বৈধ ঘােষণা করা হয়।
|
চতুর্থ সংশােধনী |
জানুয়ারি, ১৯৭৫ |
- সংসদীয় সরকারব্যবস্থার পরিবর্তে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়।
- উপরাষ্ট্রপতির পদ সৃষ্টি এবং সকল রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে একটিমাত্র জাতীয় দল সৃষ্টি করা হয়।
|
পঞ্চম সংশােধনী |
এপ্রিল, ১৯৭৯ |
- ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পরে সামরিক সরকার কর্তৃক যেসব বিধিবিধান প্রণয়ন ও সংবিধানের সংশােধনী আনা হয়েছে, সেগুলাে পঞ্চম সংশােধনী আইনে বৈধ বলে ঘােষণা করা হয়।
- রাষ্ট্রীয় মূলনীতি পরিবর্তন করা হয়।
- বাংলাদেশের নাগরিকতা বাঙালি’ থেকে বাংলাদেশি’ করা হয়।
|
ষষ্ঠ সংশােধনী |
জুলাই, ১৯৮১ |
- উপরাষ্ট্রপতির পদ লাভজনক নয় এই বিধান করে বিচারপতি আব্দুস সাত্তারকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়।
|
সপ্তম সংশােধনী |
নভেম্বর, ১৯৮৬ |
- ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ থেকে ১৯৮৬ সালের নভেম্বর পর্যন্ত জেনারেল এরশাদ যেসব বিধি-বিধান ও সামরিক আইন জারি এবং তার ভিত্তিতে যেসব কাজ সম্পাদন করেছিলেন, সেগুলােকে এ সংশােধনীতে বৈধতা দেওয়া হয়।
|
অষ্টম সংশােধনী |
জুন, ১৯৮৮ |
- বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম এবং ঢাকার বাইরে হাইকোর্টের ৬টি বেঞ্চ স্থাপন করা হয়।
|
নবম সংশােধনী |
জুলাই, ১৯৮৯ |
- জনগণের সরাসরি ভােটে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিধান করা হয়।
- রাষ্ট্রপতি পদে কোনােব্যক্তি পর পর দুই মেয়াদের অধিক অধিষ্ঠিত না হতে পারার নিয়ম করাহয়।
|
দশম সংশােধনী |
জুন, ১৯৯০ |
- জাতীয় সংসদে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ৩০টি আসনের সময় আরও ১০ বছর বৃদ্ধি করা হয়।
|
একাদশ সংশােধনী |
আগস্ট, ১৯৯১ |
- অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ কর্তৃক প্রয়ােগকৃত সকল কার্যক্রমবৈধ করা হয় এবং পুনরায় তাঁর প্রধান বিচারপতিপদে ফিরে যাবার বিধান করা হয়।
|
দ্বাদশ সংশােধনী |
সেপ্টেম্বর, ১৯৯১ |
- রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারব্যবস্থার পরিবর্তে সংসদীয় সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন হয়।
- উপরাষ্ট্রপতির পদ বিলুপ্ত করা হয়।
|
এয়ােদশ সংশােধনী |
মার্চ, ১৯৯৬ |
- অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়।
|
চতুর্দশ সংশােধনী |
মে, ২০০৪ |
- মহিলাদের জন্য জাতীয় সংসদে ৪৫টি আসন সংরক্ষণ করা হয়।
- রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতিকৃতি সরকারি অফিসসহ নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের বিধান করা হয় ।
- সুপ্রীমকোর্টের বিচারক, পিএসসির চেয়ারম্যান ও সদস্যদের অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হয়।
|
পঞ্চদশ সংশােধনী |
জুলাই, ২০১১ |
- তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত করা হয়।
- ১৯৭২ মূল সংবিধানের রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতি যথা : জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করা হয়।
- রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রাখার পাশাপাশি সকল ধর্মচর্চার স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়।
- জাতীয় সংসদে মহিলাদের জন্য ৫০টি আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।
|
ঘােড়শ সংশােধনী |
সেপ্টেম্বর, ২০১৪ |
- সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে আনার বিধান পুন:প্রবর্তন করা হয়।
|
সপ্তদশ সংশোধন |
জুলাই, ২০১৮ |
- আরও ২৫ বছরের জন্য জাতীয় সংসদের ৫০টি আসন শুধুমাত্র নারী সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত রাখা।
|
আরো পড়ুন :