এ্যামব্যাসেডর ও হাইকমিশনার
এ্যামব্যাসেডর ও হাইকমিশনারের মাঝে মর্যাদাগত তেমন পার্থক্য নেই। দুটিই একরাষ্ট্র কর্তৃক অপর রাষ্ট্রে প্রেরিত সর্বোচ্চ শ্রেণীর কূটনীতিক দূতকে বুঝায়। তবে হাইকমিশনার বলতে কমনওয়েলথভুক্ত রাষ্ট্রসমূহের সর্বোচ্চ শ্রেণীর কূটনীতিকদের বুঝানাে হয়। কমনওয়েলথ হলাে ব্রিটেনসহ একসময় ব্রিটেনের অধীনে ছিল এমন রাষ্ট্রসমূহের সংগঠন। রাষ্ট্রদূতকে তখনই হাইকমিশনার বলা যাবে যখন দুটি দেশই কমনওয়েলথভুক্ত দেশ হয়। যেমন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ভারতে নিয়ােগ পেলে তাকে হাইকমিশনার বলা হবে। তেমনিভাবে বাংলাদেশে নিয়ােজিত ভারতের রাষ্ট্রদূতও হাইকমিশনার নামে পরিচিতি পাবেন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এ্যামব্যাসেডর নামে এবং বাংলাদেশে নিয়ােজিত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতও এ্যামব্যাসেডর নামে পরিচিতি পাবেন। কেননা বাংলাদেশ কমনওয়েলথভুক্ত দেশ হলেও যুক্তরাষ্ট্র কমনওয়েলথভুক্ত দেশ নয়। তাই কমনওয়েলথ বহির্ভূত দেশসমূহের সর্বোচ্চ কূটনীতিবিদ কিংবা বহির্ভূত কোনাে দেশের ক্ষেত্রে কমনওয়েলথভুক্ত দেশসমূহের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কূটনীতিকদের বলা হয় এ্যামব্যাসেডর।