আমাদের সকল পোস্ট ও ভিডিও হোয়াটসঅ্যাপে পেতে ফলো করুন :

Click Here
প্রবন্ধ আলোচনা

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও আমাদের করণীয়

বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি নিম্নবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত সকলের কপালেই ফেলেছে চিন্তার ভাঁজ।

সূচনা-প্রসঙ্গ

দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে মানুষের জীবনযাত্রার সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য যখন সহনীয় পর্যায়ে থাকে, তখন মানুষের জীবন কাটে স্বস্তিতে। অন্যদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য যখন মানুষের আর্থিক সংগতির সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে পড়ে, তখন জনজীবনে শুরু হয় অশান্তি, প্রাণ হয় ওষ্ঠাগত। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে জনজীবন পিষ্ট। এ পরিস্থিতিতে দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে নাভিশ্বাস উঠছে মানুষের। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি আমাদের সামাজিক, জাতীয় ও অর্থনৈতিক জীবনে এক বিরাট সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সাম্প্রতিক চিত্র

বর্তমানে দেশের বাজারে অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে। চাল, তেল, চিনি, আটা, শাকসবজি, ডিম, মুরগিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কয়েক দফা বেড়েছে। পিছিয়ে নেই মাছ ব্যবসায়ীরাও। তারাও দাম বাড়িয়েছেন। এই মূল্যবৃদ্ধি সেসব সীমিত আয়ের মানুষের ওপর নতুন আঘাত, যারা ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসের কারণে মূল্যস্ফীতিতে নাকাল। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রভাব বেশি পড়েছে অতিদরিদ্র, নিম্ন ও নিম্নমধ্যম আয়ের মানুষের ওপর। বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীদের তৎপরতা বৃদ্ধির বিষয়টি উদ্বেগজনক। জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে দাম ক্রমাগত বাড়ছে ।

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণ

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সবচেয়ে বড় কারণ চাহিদা ও জোগানের ভারসাম্যহীনতা। চাহিদা তীব্র ও সরবরাহ সীমাবদ্ধ হলে পণ্যের জন্য ক্রেতার ভিড় বেড়ে যায়। পণ্য সংগ্রহে শুরু হয় প্রতিযোগিতা। ফলে অনিবার্যভাবে মূল্যবৃদ্ধি ঘটে । আমাদের দেশে জনসংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে মানুষ কৃষি জমিতে ঘরবাড়ি নির্মাণ করছে। ফলে উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে এবং জনগণের চাহিদা অনুযায়ী, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের প্রাপ্যতা নিশ্চিত হচ্ছে না। ফলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির অন্যান্য কারণগুলো নিম্নরূপ—

এই বিভাগ থেকে আরো পড়ুন

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ : বর্তমানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। রাশিয়া-ইউক্রেন বিশ্বের বৃহত্তম খাদ্য উৎপাদনকারী ও সরবরাহকারী দেশ। এদের মধ্যে চলমান যুদ্ধে সরাসরি প্রভাব পড়েছে খাদ্য উৎপাদন ও এর সরবরাহ ব্যবস্থায়। যুদ্ধের কারণে অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে জ্বালানিসহ নিত্যপণ্যের বাজার। বিশ্বে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে তিন দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে, ব্যাহত হচ্ছে আমদানি-রপ্তানি। বিশ্বায়নের এ যুগে প্রত্যেকটি দেশ একে অপরের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে সংযুক্ত। ফলে যেকোনো ধরনের সংঘাত শুধু সেই দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে না, বরং অন্যান্য দেশের ওপরও ব্যাপক প্রভাব ফেলে । বাংলাদেশ অনেক পণ্যই রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে আমদানি করে থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য— গম, সূর্যমুখী তেল, ভুট্টা, তুলা, সরিষা, মসুর ডাল, জ্বালানি তেল, গ্যাস ইত্যাদি।

জ্বালানির দাম বৃদ্ধি : দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির অন্যতম একটি কারণ জ্বালানির দাম বৃদ্ধি। বাংলাদেশের মোট জ্বালানি চাহিদার বেশিরভাগ আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়ে থাকে । রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকট তৈরি হয়। বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় জুন ২০২২ থেকে তরলিকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (LNG ) আমদানি বন্ধ রাখে সরকার। এছাড়া দেশে ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রোলের দাম বৃদ্ধি করে। কৃষি কাজের সাথে জ্বালানির সরাসরি সম্পর্ক থাকায় ব্যয় বৃদ্ধি পায়। এছাড়া জ্বালানির দামবৃদ্ধির ফলে পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি পায়, যা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করে। পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধির ফলে শিল্পজাত দ্রব্য সামগ্রী বাজারে পাঠানো বা কাঁচামাল কারখানায় আনার ব্যয় বৃদ্ধি পায়। এ কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়া স্বাভাবিক ।

কর আরোপ : দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির আরেকটি কারণ সরকার কর্তৃক করারোপ। আর্থিক সংকট কাটানোর জন্য আমদানিকৃত ও দেশীয় উৎপাদিত পণ্যের ওপর কর আরোপ করা হয়। ফলে দ্রব্যমূল্যের ওপর প্রভাব পড়ে। আমাদের দেশে অতিরিক্ত কর আরোপের ফলে দ্রব্যমূল্যের ওপর অধিক চাপ পড়ে । ফলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায় ।

বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি : আন্তর্জাতিক বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রভাব অভ্যন্তরীণ বাজারেও পড়ে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি বর্তমানে একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। যুদ্ধ, সংঘাত, জ্বালানি `সংকট, মুদ্রার অবমূল্যায়নসহ বিভিন্ন কারণে বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি পায়। বাংলাদেশে ফল, খাদ্য দ্রব্য, যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে বেশিরভাগ পণ্য বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়ে থাকে। এ অবস্থায় আমাদের দেশে আমদানিকৃত পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পায়। এছাড়া যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাবে বিভিন্ন দেশ অভ্যন্তরীণ বাজারে পণ্য সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখতে পণ্য রপ্তানি নিষিদ্ধ বা সীমিত করছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধি পায় ৷

উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি : উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির সাথে সাথে যেকোনো দ্রব্যের বিক্রয়মূল্য বৃদ্ধি পায়। একটি দ্রব্যের উৎপাদন বিভিন্ন অংশের মিলিত সমাহার। যেমন কৃষিজাত দ্রব্য উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত থাকে – বীজ, সার, কীটনাশক, যন্ত্রপাতির ব্যবহার, সেচ ব্যবস্থা এবং শ্রমিকের মজুরি। এই বিষয়গুলি এক বা একাধিক অংশের মূল্য বৃদ্ধির সাথে সাথে দ্রব্যের বিক্রয়মূল্য বৃদ্ধি পেতে থাকে। বিশেষ করে সার, কীটনাশক দ্রব্য এবং পেট্রোলিয়ামের মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উৎপাদন খরচ প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। ফলস্বরূপ কৃষিজাত দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পেতে থাকে ।

অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি ও চোরাচালানি : কৃষি ও শিল্প কারখানাগুলোর উৎপাদনে সীমাবদ্ধতা এবং বৈদেশিক মুদ্রার অভাবে কোনো দ্রব্য চাহিদা অনুযায়ী, আমদানি করা সম্ভব না। হলে মজুতদার ও দুর্নীতিপরায়ণ ব্যবসায়ীরা এর সুযোগ গ্রহণ করে । তারা সিন্ডিকেট করে জিনিসের কৃত্রিম অভাব সৃষ্টি করে, ফলে দ্রব্যের মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পায়। চোরাকারবারিরা অতিরিক্ত মুনাফার আশায় পণ্য বিদেশে পাচার করে দেয় । এতে বাজারে সরবরাহ কমে যায় এবং দাম বৃদ্ধি পায় । এছাড়া মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসায়ীদের কারণে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ : বাংলাদেশ একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ। ভৌগোলিক অবস্থান ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এদেশে প্রতিবছর বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, খরা, নদীভাঙন, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, লবণাক্ততা ইত্যাদি দুর্যোগ দেখা দেয়। এতে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হয় এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। তাই উৎপাদন স্বল্পতার কারণে স্বাভাবিকভাবে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে অনেক সময় দেশের এক অঞ্চলের সঙ্গে অন্য অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এতে পণ্যের উৎপাদনস্থল থেকে চাহিদা অঞ্চলে পণ্য পৌছনো সম্ভব হয় না। ফলে সরবরাহের ঘাটতিহেতু দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়।

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পরিণাম

ব্যক্তি ও জাতীয় জীবনে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পরিণাম খুবই ক্ষতিকর। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে মানুষের আয়ের সাথে ব্যয়ের ভারসাম্য রক্ষিত হয় না। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা হয় বিপর্যস্ত। দরিদ্র এবং মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো চরম কষ্টে পড়ে । আর নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর অবস্থা হয় অবর্ণনীয় । অর্ধাহারে, অনাহারে দিন কাটাতে হয় হতদরিদ্রদের। অনেক পরিবার শিশুপণ্য ও ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যয়ভার সঙ্কুচিত করে ফেলতে বাধ্য হয়। ফলে শিশুর পুষ্টিহীনতা ও ছাত্র-ছাত্রীর শিক্ষা জীবন ব্যাহত হয়।

অনেক সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে যায়, ফলে দেখা দেয় দুর্ভিক্ষ, মহামারি প্রভৃতি দুর্যোগ। এছাড়া জনমনে ক্ষোভ, হতাশা জমে তা রূপ নেয় বিক্ষোভ ও আন্দোলনে। দেশে বিরাজ করে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা, ফলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়ে। সীমাবদ্ধ ক্রয়ক্ষমতা নিয়ে পণ্যের বাজারে সাধারণ মানুষ হয়ে পড়ে কোণঠাসা, দিশেহারা, উদ্ভ্রান্ত। দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধিজনিত আর্থিক সংকট কাটানোর জন্য অনেকে অবৈধ উপার্জনের দিকে মনোযোগী হয়। ফলে সমাজে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয় ।

আমাদের করণীয়

নানা কারণে আমাদের দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য বেড়েই চলেছে। অনেক দ্রব্যের দাম দরিদ্র ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গেছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে চাহিদা অনুযায়ী; পণ্যের জোগান নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশের কৃষিনির্ভর সমাজব্যবস্থায় কৃষির উৎপাদন বাড়াতে হবে।

এক্ষেত্রে কৃষি জমি থেকে সর্বোত্তম ফসল লাভের জন্য বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ, উন্নত বীজ, প্রচুর সার ও সেচ ব্যবস্থার সমন্বয় করতে হবে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ করে সমবণ্টনের মাধ্যমে চাহিদা নিবারণের ব্যবস্থা করতে হবে। মজুতদার, চোরাকারবারি ও ফটকাবাজদের জন্য আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ করতে হবে। যাতে তারা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মূল্যবৃদ্ধি করতে না পারে।

কৃষি ভর্তুকি বৃদ্ধি করে কৃষকদের উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। উৎপাদন বাড়লে বাজারে পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল হবে। একচেটিয়া বাজারকে নিরুৎসাহিত করার লক্ষ্যে প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টি করতে হবে। সর্বোপরি সামগ্রিক বাজার ব্যবস্থাপনার ওপর সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে এবং কেউ যেন হঠকারী সিদ্ধান্ত দিয়ে দ্রব্যের মূল্যকে প্রভাবিত করতে না পারে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। শুধু সরকার নয়, সাধারণ মানুষকেও দ্রব্যমূল্য সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রোধের জন্য সামাজিকভাবে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে সরকার বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। দ্রব্যমূল্য যাতে বিক্রেতারা নিজেদের ইচ্ছামতো বাড়াতে না পারে সেজন্য দোকানে পণ্যের নির্ধারিত মূল্য তালিকা টানানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকার ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (TCB) মাধ্যমে এক কোটি পরিবারের মধ্যে সুলভ মূল্যে পণ্য বিতরণ করেছে । ভবিষ্যতে TCB’র মাধ্যমে আরও পণ্য বিক্রি বাড়াতে নানা পরিকল্পনা করছে।

খাদ্যদ্রব্যসহ নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় রাখতে বাজার মনিটরিং, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ অন্যান্য পদক্ষেপ জোরদার করেছে। প্রতি সপ্তাহে স্পর্শকাতর পণ্যের খুচরা ও পাইকারি মূল্যের তালিকা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকার বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছে, বাজারে অতিরিক্ত মুনাফা ঠেকাতে সক্রিয় করা হয়েছে ভোক্তা অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থাকে।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি আমাদের একটি জাতীয় সমস্যা। এ. সমস্যা থেকে মুক্ত হতে না পারলে আমাদের সমস্ত অগ্রগতি স্থবির হয়ে পড়বে। তাই দেশের সার্বিক উন্নয়নে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধকল্পে আমাদের সকলকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

Md. Mahabub Alam

I am a committed educator, blogger and YouTuber and I am striving to achieve extraordinary success in my chosen field. After completing Masters in Anthropology from Jagannath University, I am working as Chief Accounts Officer in a national newspaper of the country. I really want your prayers and love.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button