জীবনযাপনস্বাস্থ্য টিপস

দারচিনি খাওয়ার উপকারিতা | দারুচিনি খাওয়ার নিয়ম

দারচিনি খাওয়ার উপকারিতা : দারুচিনি আমরা অনেকেই চিনি, অনেকেই চিনি না। তবে অনেকেই যে চিনি না তা কিন্তু ঠিক নয়। কারণ অনেকে একে ডালচিনি’ বলে। তাই অনেকের কাছে পরিচিতি ডালচিনি বা দারচিনিই হলাে এই দারুচিনি। এটি আমাদের রান্নার একটি মসলা। এর খ্যাতি গরম মসলা হিসেবে। এই দারুচিনি দেখতে ছােট গাছের বাকল বা ছালের মতাে। গাছের ছালই তাে বটে! এর স্বাদ একটু ঝাল ও মিষ্টি। একটু ঝাঁঝালাে। কিন্তু গন্ধটা সুন্দর । দারুচিনিগাছ মাঝারি ধরনের। অনেকটা গােলাপজাম গাছের মতােই। পাতাগুলি প্রায় তেজপাতার মতাে। গাছের ছালের রঙ ধূসর। তবে বেশি মােটা হয় না। কাঠের রং ফিকে লাল হয়। কচি পাতা প্রথমে গাঢ় গােলাপি রঙের হয়। পরে সেটা সবুজ হয়ে যায়। গাছের ছাল তুলে রােদে দিলেই ওগুলাে কুঁকড়ে যায়। রান্নার কাজে দারুচিনির ব্যবহার ছাড়াও রয়েছে এর ঔষধি গুণ, যা আমাদের ছােটখাটো অসুখে কাজে লাগতে পারে।

কণ্ঠস্বর বিকৃতি :

আপনার যদি কফের কারণে বায়ু আটকে যায়, স্বর বদলে যায়, সেক্ষেত্রে দারুচিনি খুব ফল দেবে। এজন্য ১ গ্রাম দারুচিনি গুঁড়া আধা কাপ গরম পানিতে রাতে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সেটাকে হেঁকে নিয়ে পানিটা খাবেন। এটা গলার স্বরকে স্বাভাবিক করে দেবে।

গলার ক্ষত :

আপনি হয়ত পিত্ত ও শ্লেষ্মর কারণে অনেকদিন ধরে ভুগছেন। অল্প কিছু খেলেই গলাটা জ্বালা ও মাঝে মাঝে। ব্যথা করে। স্বরটা দেবে যায়। এগুলাে গলার ক্ষতের প্রাথমিক লক্ষণ। এক্ষেত্রে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আগে একটি সাধারণ চিকিৎসা করে দেখতে পারেন। ১ গ্রাম দারুচিনি গুঁড়া, এক কাপ গরম পানিতে রাতে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সেটাকে হেঁকে সকালে ও বিকালে দু’বেলা অল্প অল্প করে। খান। এতে গলার ক্ষত ভালাে হয়ে যাবে।

মাথার যন্ত্রণা :

পিত্ত ও শ্লেষ্মর জন্য মাথায় যন্ত্রণা হতে পারে। জ্বর হলে কিংবা জ্বরের আগে এ যন্ত্রণা হতে পারে। এ অবস্থায় আপনি দারুচিনি গুঁড়া সিকি গ্রাম পরিমাণ সকালে ও বিকালে দু’বার খান। আবার এই দারুচিনি মিহি গুঁড়া করে ২/১ বার নাকে দিয়ে শ্বাস নিন। এতে নাসাপথ পরিষ্কার হবে। নাকের পানি পড়া ও মাথার যন্ত্রণাও কমবে।

মুখের মেছতা :

কোনাে কোনাে ছেলে বা মেয়ের বিশেষ করে মেয়েদের মুখে কালাে রঙের ছােপ ছােপ দাগ দেখা যায়। এ রকম হলে প্রথমে দারুচিনি গুঁড়া এক বা দেড় গ্রাম আগের দিন রাতে গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সেটাকে হেঁকে নিয়ে সকালে ও বিকালে দু’বার পানিটা খান। আবার ৩/৪ গ্রাম দারুচিনি থেঁতাে করে দু’কাপ পানিতে সিদ্ধ করে এক কাপ মতাে হলে ঐ পানিটা সকালে ও বিকালে দু’বারে খান। আর দুই এক চিমটি পরিমাণ দারুচিনির মিহি গুঁড়া একটু দুধের সরের সাথে মিশিয়ে ঐ মেছতার ওপরটায় আস্তে আস্তে ঘষে দিন। এতে করে ঐ মেছতার দাগটা মিলিয়ে যাবে।

দাদ ও একজিমা :

দাদ ও একজিমার সাথে আমরা কমবেশি সবাই পরিচিত। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কালাে ও সাদা রঙের চাকা হয়। খুব বেশি চুলকায় এই চাকা চাকা জায়গাগুলাে। এর ফলে ঐ জায়গাটা একটু ফুলে লাল হয়ে ওঠে। অনেক সময় পানি বের হয়। এক্ষেত্রে দারুচিনি ৩ গ্রাম পরিমাণ নিয়ে তাকে থেঁতাে করে দু’কাপ পানিতে সিদ্ধ করতে হবে। এক কাপ থাকতে নামিয়ে ছেকে সকালে ও রাতে খাবার পর আধা

Bcs Preparation

BCS Preparation provides you with course materials and study guides for JSC, SSC, HSC, NTRCA, BCS, Primary Job, Bank and many other educational exams.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button