টিপস

এইচএসসি’র পর ক্যারিয়ার ভাবনা ২য় পর্ব

উচ্চ মাধ্যমিক (HSC) পরীক্ষার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ব পর্যন্ত এ মাস তিন-চারেকের অবসরটুকুর ব্যাপ্তি অল্প হলেও এর মূল্য অনেক বেশি। না জানা বিষয়কে জানতে, অল্প জানা বিষয়ে নিজের দখলদারিত্ব আরও পাকাপােক্ত করতে এই অবসরে বিভিন্ন প্রয়ােজনীয়। কোর্স করতে পারেন। এসব কোর্সের বিষয়। নির্বাচনে আপনার ভবিষ্যতের ক্যারিয়ারকে প্রাধান্য দিতে পারেন।

ফ্যাশন ডিজাইনিং

ফ্যাশন সচেতন মানুষমাত্রই নিজেকে অন্যের চেয়ে আলাদাভাবে। তুলে ধরতে ভালােবাসেন। পােশাক ও অনুষঙ্গে আগ্রহ থাকলে করে ফেলতে পারেন ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের কোনাে শট কোর্স। সেক্ষেত্রে নিজের পােশাক তাে বটেই অন্যের কাছ থেকেও কাস্টমাইজ পােশাকের অর্ডার নিয়ে রােজগার করতে পারবেন। পােশাক নিয়ে ব্যবসা করার ইচ্ছা থাকলেও এ কোর্স অনেক কাজে দেবে। এছাড়া চাকরির ক্ষেত্রেও ফ্যাশন ডিজাইনের রয়েছে অনেক সুযােগ। ফ্যাশন ডিজাইনারদের জন্য গার্মেন্টস, বায়িং হাউজ, বুটিক হাউজ ইত্যাদিতে চাকরি করার সুযােগ রয়েছে।

আরো পড়ুন : এইচএসসি’র পর ক্যারিয়ার ভাবনা

ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং

অভ্যন্তরীণ গৃহসজ্জার প্রতি দিনে দিনে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। নিজেরা বাড়ি না সাজিয়ে অনেকেই প্রফেশনাল ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের শরণাপন্ন হন। এছাড়া অফিস, সাজানাে বা প্ল্যানিং তাে আছেই। তাই করে ফেলতে পারেন ইন্টেরিয়র ডিজাইনিংয়ের কোর্স। উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি পার্ট টাইম কাজ হিসেবে সহজেই এখান থেকে রােজগার। করা যায়। চাইলে এ পেশাতেই ভবিষ্যৎ গড়তে পারেন।

সুইং-কাটিং

ঘরে বসে রােজগারের জন্য সেলাইয়ের কাজ একটি ভালাে মাধ্যম। পড়াশােনার পাশাপাশি যেমন এ কাজ করা যায়, তেমনি পেশা হিসেবে নেওয়া যায়। কাজ পাবার জন্য বেশি দূরে যাওয়ার প্রয়ােজন হয় না। প্রতিবেশীরা বা এলাকার; মানুষজনই সাধারণত পােশাক তৈরির অর্ডার দিয়ে থাকে। আবার পােশাক নিয়ে অনলাইন ব্যবসা শুরু করতে চাইলে কাটিং-সুইংয়ের কোর্স করা থাকলে বেশ কাজে আসে। এক্ষেত্রে পােশাক তৈরি করে যেমন বিক্রি করতে পারবেন, তেমনি গ্রাহকের চাহিদামাফিক পােশাক তৈরি করে। ডেলিভারিও করতে পারবেন।

স্ক্রিন প্রিন্ট

প্রচার ও প্রচারণার এই যুগে স্ক্রিন প্রিন্টে কাজের ক্ষেত্র দিন দিন বাড়ছে। স্ক্রিন প্রিন্টের কোর্স করে নিয়ে যুক্ত হওয়া যায়। এই কাজে। টি-শার্ট, মগ, ব্যানার ইত্যাদিতে স্ক্রিন প্রিন্টের। কাজ শুরু করা যায় খুব কম মূলধন দিয়েই। স্ক্রিন প্রিন্টকে মূল পেশা হিসেবে যেমন নিতে পারেন, তেমনি পড়াশােনার। পাশাপাশি পার্ট টাইম কাজ হিসেবেও নিতে পারেন।

আরো পড়ুন : এসএসসি পরীক্ষার পর অবসর দিনগুলো যেভাবে কাটাবেন

হস্তশিল্প

হাতে তৈরি জিনিসের সমাদর যুগ যুগ ধরেই রয়েছে। আড়ং বা সাের্সের মতাে প্রতিষ্ঠানগুলাে হস্তশিল্পের জন্যই বিশ্বজুড়ে সুনাম অর্জন করেছে। এইচএসসি’র পর এই অবসরে করতে পারেন হস্তশিল্প তৈরি করার কোর্স। বিসিক, এসএমই ফাউন্ডেশনের মতাে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এসব কোর্স করিয়ে থাকে। অনেক শিল্পী ব্যক্তিগতভাবেও হস্তশিল্প তৈরি করা শিখিয়ে থাকেন। সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের এটি একটি ভালাে মাধ্যম। এতে নিজে ব্যবসা করার যেমন সুযােগ রয়েছে, তেমনি কোনাে হস্তশিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্মী হিসেবে কাজ করার সুযােগও রয়েছে।

টাইডাই ও বাটিক

কাপড়ে রঞ্জনশিল্প খুবই প্রাচীন একটি কাজ। সুদূর অতীত থেকেই মানুষ হাতে কাপড়ে রঙ করে আসছে নানান পদ্ধতিতে। এর মধ্যে উল্লেখযােগ্য হলাে টাইডাই বা বন্ধনরঞ্জন এবং বাটিক। টাইডাই পদ্ধতিতে কাপড় বেঁধে রঙে 3 চুবিয়ে পুরাে কাপড় রঙ করা হয়। এতে বাধা জায়গাগুলােতে নকশা তৈরি হয়। আর বাটিক পদ্ধতিতে কাপড় প্রিন্ট করতে ব্যবহার করা হয় মােম। এই দুটি পদ্ধতিই বেশ সহজে শেখা সম্ভব এবং খুব কম ব্যয়ে বেশি লাভ করা সম্ভব। বিসিক, এসএমই ফাউন্ডেশন নিয়মিত কোর্স করায় এ দুটি বিষয়ে। আবার ইউটিউবের ভিডিও দেখেও শিখে নিতে পারেন সহজে। কাঁচামাল ও উপাদানও বেশ সহজলভ্য। টাইডাই ও বাটিক হতে পারে আপনার রােজগারের অন্যতম মাধ্যম।

প্রচ্ছদ ও অলংকরণ

যারা ছবি আঁকতে পছন্দ করেন বা চারুকলায় পড়ার কথা ভাবছেন তাদের জন্য এটা হতে পারে দারুণ পেশা। এতে আঁকার অনুশীলন যেমন হবে, তেমনি হবে রােজগারও। বিভিন্ন প্রকাশনীতে কাজ করতে পারেন প্রচ্ছদ শিল্পী হিসেবে। কার্টুন আঁকতে পারেন পত্র-পত্রিকার জন্যও। খুব ভালাে ছবি আঁকতে জানলে পােট্রেট এঁকে বা গৃহসজ্জার জন্য ছবি এঁকে বিক্রি করেও আয় করা যায়। এছাড়াও শিখতে পারেন সূচিশিল্প ও এমব্রয়ডারি। একসময় সুঁই-সুতাের কাজ নারীদের একচেটিয়া ভাবা হতাে, কিন্তু ব্যাপারটা আসলে তা নয়। সূচিশিল্প নারী-পুরুষ যে কেউ মেশিন এমব্রয়ডারি শিখে নিলে খুব কম বিনিয়ােগে ব্যবসা শুরু করে বাড়িতে বসেই আয় করা সম্ভব।

Bcs Preparation

BCS Preparation provides you with course materials and study guides for JSC, SSC, HSC, NTRCA, BCS, Primary Job, Bank and many other educational exams.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button