
আলো বলে অন্ধকার তুই বড় কালাে অন্ধকার বলে ভাই তাই তুমি আলাে
বৈপরীত্য আছে বলেই আমরা বস্তুর স্বরূপ উপলব্ধি করতে পারি। পৃথিবীতে মন্দ আছে বলেই ভালাের এত কদর। আলাে ও অন্ধকার—আপাতদৃষ্টিতে দুটোকে বিপরীত মনে হলেও আলাের স্বরূপ বুঝতে হলে অন্ধকারের প্রয়ােজন হয়। রাত্রি ও দিনের মধ্যে যদি কোনাে পার্থক্য না থাকত, একটানা আলাে বা একটানা অন্ধকার হলে আমরা রাত্রি ও দিনের কোনাে তফাত বুঝতে পারতাম না। ভালাে-মন্দ, সাদা-কালাে, ইতর-ভদ্র, সুজন-কুজন, পাহাড়-সমতল, মরভূমি-সমুদ্র এসব প্রাকৃতিক বৈপরীত্যের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে এ জগৎসংসার। এই বৈপরীত্যের স্বরূপ উপলদ্ধি করেই মানুষ বেছে নেয় সঠিক পথ ও পন্থা। তৈরি হয় বিবেচনাবােধ। তুলনার মধ্য দিয়ে কোনাে বস্তুর স্বরূপ অনুধাবন করা যায় সহজ। আলাে ও অন্ধকারের এ ঝগড়া অমূলক। আসলে ভালাে-মন্দ, আলাে-অন্ধকার একে অপরের পরিপূরক। অন্ধকার কালাে বলে তাকে নিন্দা করার কিছু নেই। কারণ, অন্ধকার আছে বলেই আলাের এত কদর।
এই বিভাগের আরো ভাবসম্প্রসারণ :
- অর্থসম্পত্তির বিনাশ আছে কিন্তু জ্ঞানসম্পদ কখনাে বিনষ্ট হয় না
- অসি অপেক্ষা মসী অধিকতর শক্তিমান
- অনুকরণের দ্বারা পরের ভাব আপন হয় না অর্জন না করলে কোন বস্তুই নিজের হয় না
- অর্থই অনর্থের মূল
- অধর্মের ফল হইতে নিষ্কৃতি নাই
- মানুষের মৃত্যু হলে তবুও মানব থেকে যায়